কবিতা- ছাব্বিশ

ছাব্বিশ
-অযান্ত্রিক

 


রাজা কিংবা প্রজার খাতায় ,তন্ত্র বোঝায় দিক নির্দেশ,
বশ্যতা যখন ফিকির শুধু, বোকা জনতা ,বোকা এই দেশ।
পতাকা উড়ায় ভ্রান্ত বাতাস,পিষছে প্রজা শাসন যন্ত্রে,
আমরা কিন্তু বুকে রেখে হাত,শপথ নিচ্ছি প্রজাতন্ত্রে।

ছাব্বিশ দিলো চওড়া ছাতি, কিন্তু নীচে রক্তের ছাপ,
শাঁখের করাত দিচ্ছে দেখো,এগিয়ে যাওয়ার সে অভিশাপ।
বলছি দেখো সবাই রাজা ,নিজেই খুঁজে নিচ্ছি মরণ,
চাপছি শুধু পেটের তাগিদ, বলছি না ঠিক কোনটা কারন।

আমিও সেই সবার মতোই, পরছি বসে পংক্তি ভোজে,
মধ্যবিত্ত মনটা কিন্তু কমদামে তেই স্বস্তি খোঁজে।
শিরদাঁড়াটা হচ্ছে নরম ভুলটা দেখে বলছি হেসে,
নতুন দিনের সূর্য দেখো উঠবে আবার আমার দেশে।

যারা জানে ভাতের গন্ধ তাদের থালায় খেলছে বায়ু,
নতুন দিনটা অনেক দূরে ,পৌঁছতে হয়তো ফুরাবে আয়ু।
নকল রাজার আশ্বাসে তাই রোজ ছুঁটে যাই ত্যাগের মন্ত্রে,
ফিরেও আসি শূন্য বুকে ভরসা থাকুক প্রজা তন্ত্রে।

ভরসা বুলি আউড়িয়ে দিন ,যাচ্ছে যাক না যেমন যাবে,
যাচ্ছি পুঁতে বাবুল গাছটা, কাঁটা ছাড়া ফুল ফুটবে কবে।
রাত প্রতি রাত বিক্রি বাড়ে , বিবেক শরীর অন্ধকারে,
তবুও বুকে তিনরঙা দিন ,অভিবাদনের সেলাম করে।

রাজা পাল্টায় ,মন্ত্রী বদল,প্রজা চিরকাল একই থাকে,
জনতা আজও পেষা মশলায় ,নিজেকে কেমন আটকে রাখে।
হরেক কিসিম ফন্দি ফিকির ,বিভেদ গুলোও বিভ্রান্ত,
আমি দেখছি বাড়ছে বয়স, হচ্ছে বুড়ো প্রজাতন্ত্র।

Loading

One thought on “কবিতা- ছাব্বিশ

Leave A Comment