শাকচুন্নির পরকীয়া
-জয়তী মিত্র
উঁরি বাঁবারে পাঁ’টা ভেঁঙে গেঁল রে, কিঁ যঁন্ত্রণা হঁচ্ছে, মঁরে গেঁলাম রেঁ, কিঁ কুঁক্ষণে এঁই শ্যাঁওড়া গাঁছে মাঁমদোটার সাঁথে প্রেঁমে মঁজে ছিঁলাম কেঁ জাঁনে, কেঁ জাঁনতো গাঁছের ডাঁলটা ভাঁঙা ছিঁল।
বঁজ্জাতটা আঁমাকে পঁড়ে যেঁতে দেঁখে ঠিঁক কেঁটে পঁড়েছে, প্রেঁম দিঁবসে একখাঁনা নেঁকলেস আর একগুঁচ্ছ গোঁলাপ দেঁবে বঁলেছিল সেঁ তোঁ আঁজও দিঁলো নাঁ। মিঁথ্যেবাদী..এবার আঁসুক প্রেঁম কঁরতে হাঁড় ভেঁঙে গুঁড়ো কঁরে দেঁবো। কিঁ পীঁড়িত! আঁবার নাঁম দিঁয়েছে টুঁম্পা সোঁনা, আঁসুক হাঁরামজাঁদা ঝেঁটিয়ে বিঁদেয় কঁরবো। সঁব দোঁষ আঁমার, বুঁড়ো মিঁনসে ব্রঁহ্মদঁত্যিটাকে দেঁখলে আঁমার গা-পিঁত্তি জ্বঁলে, বুঁড়োটা এঁকটা ঘাঁটের মঁরা, রঁস কঁত..বঁলে কিঁনা, ‘শাঁকু রে তোঁকে আঁমি বঁড্ড ভাঁলোবাসি, তুঁই আঁমাকে ছেঁড়ে কোঁনোদিঁন চঁলে যাঁবি নাঁতো, যঁদি যাঁস আঁমি এঁই জীঁবন আঁর রাঁখব নাঁ।’
কোঁথায় আঁমার মাঁমদো, আঁর কোঁথায় এঁই বুঁড়ো হাঁবড়াটা। সাঁরাক্ষণ গায়ের সাঁথে লেঁগে থাঁকে। তঁবে মাঁমদোর মঁতো পাঁজি নাঁ। তাঁও মাঁমদোটা কেঁমন যেঁন বঁশ কঁরে রেঁখেছে আঁমাকে।
শাকুকে গাছের তলায় পড়ে থাকতে দেখে খুবই খুশি হল ব্রহ্ম, পা ভেঙেছে দেখে আরো খুশি হলো আর বললো, ‘দেঁখ কেঁমন লাঁগে, কঁদিন ধঁরে তোঁর চাঁলচঁলন আঁমার ভাঁলো ঠেঁকছিল নাঁ। মাঁমদোটা আঁমার সংসাঁরে নঁজর দিঁচ্ছিল। তোঁর মঁনও দেঁখলাম উঁরু উঁরু। ভাঁবলাম কঁর প্রেঁম, দুঁদিন বাঁদেই বাঁপ, বাঁপ বঁলে এঁই বুঁড়ো বঁরের কাঁছেই তোঁকে ফিঁরতে হঁবে। তাঁই তোঁকে ছেঁড়ে মঁজা দেঁখছিঁলাম। আঁরে ওঁই মাঁমদোকেঁ আঁমি খুঁব ভাঁলো কঁরে চিঁনি, এঁকটা চঁরিত্রহীঁন। সেঁদিন দেঁখলাম তেঁতুল গাঁছের মঁগডালে মেঁছোপেঁত্নীটাকে নিঁয়ে প্রেঁমে মঁজেছে। আঁবার আঁর এঁকদিঁন দেঁখলাম মেঁছোর বোঁনটাকে নিঁয়ে নিঁম গাঁছে পাঁ দুঁলিয়ে গাঁন গাঁইছে । দুঁশ্চরিত্র, লঁম্পট কোঁথাকার। তাঁরপঁর দেঁখি আঁমার ঘঁরেও হাঁনা দিঁয়েছে। যঁদি নাঁ পাঁলাতো, মেঁরে বঁদন বিঁগড়ে দিঁতাম। প্রেঁম কঁরা ঘুঁচে যেঁত চিঁরকাঁলের জঁন্য।’
পায়ের ব্যাথায় শাকুর প্রাণ তখন ওষ্ঠাগত -‘নেঁ ওঁঠ চঁল, পাঁয়ে ওঁষুধ লাঁগিয়ে দিঁই। আঁর যঁদি গেঁছিস মাঁমদোর সাঁথে প্রেঁম কঁরতে চিঁরকাঁলের জঁন্য ঘাঁড় ধঁরে বিঁদেয় কঁরে দেঁব, আঁমার খাঁবি, আঁমার পঁড়বি, আঁবার আঁমার সাঁথেই বিঁশ্বাসঘাঁতকতা কঁরবি, এঁসব আঁর সঁহ্য কঁরবো নাঁ।”
শাকচুন্নি ব্রহ্মকে আদর করে বললো, ‘আঁর কোঁনোদিঁন এঁমন কঁরবো নাঁ। তোঁমার সাঁথেই সুঁখের ঘঁর বাঁধবো ওঁই শ্যাঁওড়া গাঁছে।’
শাকুর মুখে এই কথা শুনে আনন্দে ব্রহ্ম গান গাইতে লাগলো, ‘তুঁমি যে আঁমার, ওঁগো তুঁমি যেঁ আঁমার..’