অসম মৌতাত
-অমল দাস
আচ্ছা বলো, বলো তো তুমি কি পারো!
খাদ্য বণ্টনের পোকা ধরা চাল নিয়েছো কোনও দিন?
হ্যাঁ চুরি অবশ্য করেছো তুমি –চৌর্যবৃত্তে।
– খেয়েছো? খাওনি কোনও দিন।
এমনও হয়েছে কোনও দিন, হেসেছো আর হেসেছো
-মৃত সন্তান কোলে!
তবে সেই হাসিটাই একবার হেসে দেখাও,
-দেখি তোমার উজ্জ্বল দাঁতেরপাটি।
ওই যে বাঁদর ঝোলার আদর খেয়ে, ঘাম স্নানে-
নিত্য যাতায়াতের সিক্ত রক্তদেহের দল
-ছেড়ে যাওয়া শ্বাস কুড়িয়ে তোলে, লক্ষ মাথার ভিড়ে।
ওদের মত পায়ে লুটিয়ে তুলেছো বাঁচার আশ?
তোল নি তো.. তুলবেও না.. পারবেই না!
তুমি পেরেছ কেবল নগ্ন রাতের আঁচল খুলতে..
পেরেছ কেবল রুগ্ন-র শ্বাস ছিনিয়ে নিতে..
পেরেছ কেবল বিলাস তারার বিলগ্নীতে বিলিয়ে যেতে..
ঘাসের ওপর শুয়ে দেখ নি –কত জীবন্ত প্রাণ
রাতের আকাশ চেয়ে দেখ নি -কত আলোর কথা
মাটির ছোঁয়া নিয়ে দেখ নি -কত বিশুদ্ধ ঘ্রাণ
জলের তলে ডোবাওনি পা – কত স্নিগ্ধ পরশ
তুমি দুষ্টের দেহ ছিন্ন করো নি –সে সাহস তোমার কই!
তুমি দুঃস্থের দুখ দূর করো নি –সে অভিলাষই বা কই!
তুমি ছাত্রের বুকে এঁকেছ ক্ষত
তুমি, মেহনতি মাথা করেছো নত
তুমি সবান্ধবে লুটেছো যত – সে খতিয়ানই বা কই!
আজকে যদি হিসাব করি – নস্যাৎ তুমি করতে পারো
আমার চোখে চোখ রেখে দেখ যদি নির্লজ্জতা ঢাকতে পারো
পারবে না -আধা পেটে শোয়ার অভ্যেস তোমার নেই
অর্থ-রক্ত-মাংস ছাড়া অন্য কোনও খোয়াইসও যে নেই
পারবে না থাকতে শিশির ভেজা চালা ঘরে সারা রাত
দীনের দেশে দুর্গন্ধ – টাকার দহে মোহ-মৌতাত।
বাহ, অসাধারন, ভীষণ ভালো লাগলো
ধন্যবাদ আপনাকে
কবিতার শিরনাম নিয়ে আমার confution ছিলো, কিন্তু কবিতা দা্রুন কিছু বলার ভাষা নেই কবি
ভালো থাকবেন কবি
আপনার ভালো লাগা আমার প্রাপ্তি। ধন্যবাদ।