ষাটের অবকাশে
– শচীদুলাল পাল
ষাটের অবকাশের পরে নেইকো স্কুলের তাড়া,
নেইকো স্কুলে পরীক্ষা আর পরীক্ষারই পড়া।
নাইকো অফিস যাবার পীড়া ছুটে ট্রেন বাস ধরা,
ঘড়ি ধরে সময় মতো চলা ফেরা করা।
ভালো করে বাঁচার বয়স মানে ষাট থেকে শুরু,
ষাট মানে ঠাঁট বাট মৌজ মস্তি, ঘর বাইরের গুরু।
নাইকো বাসের ঠেলাঠেলি বসের গালাগালি।
কাজকর্মে হিসেব নিকেশে গরমিল জোড়াতালি।
নাইকো টেনশন নাইকো কোনো টার্গেট পূরণ,
ইচ্ছামত চালচলনের মুক্ত বাতাবরণ।
কথাবার্তায় নাইকো মানা নাইকো কোনো ধমক,
খোলা মনে হেসে খেলে কাটে, নেইকো বন্ধক।
নাই কোনো মাথা নোয়ানোর দীনতা মাথাব্যথা ,
সবাই করে অভিবাদন, নোয়ায় তাদের মাথা।
দিনভর আড্ডা রাজনীতি আর সমালোচনা,
কালাতিপাত দিনরাত নেইকো সময়ের সীমানা।
নির্দ্বিধায় আসন প্রাণায়াম রাস্তায় পদচারণ,
নাতি-নাতনিদের সাথে খুশীতে দিনযাপন।
ভালো করে বাঁচার বয়স শুরু তো ওই ষাট।
ষাটেই শুরু তো জীবনের বিলাসিতা ঠাঁট-বাট।