রাগ ইমন
– সুমিত মোদক
এক একটা প্রজাপতির এক একটা করে নাম রাখছিলে যখন তুমি,
আমি তখন গোঠের রাখাল;
আড় বাঁশিতে তুলি রাগ ইমন …
এখন আর আগের মতো সেভাবে প্রজাপতির ডানা মেলে উড়তে দেখি না;
উড়তে দেখি না ফুলে ফুলে, মনের ভিতর;
চারিদিকে এতো ধোঁয়াশা ঘিরে ফেলেছে যে,
তোমাকেও খুঁজে পেতে কষ্ট হয়;
ভয় হয় …
আশেপাশের লোকজন যখন এক এক করে হেঁটে যায় শ্মশান ভূমির দিকে,
তখন ভিতর থেকে কেমন যেনো অসহায় হয়ে পড়ি;
শূন্য হয়ে পড়ি;
বার বার ইমন রাগে তাল কাটে;
এখন হেঁটে চলেছি গঙ্গারিডি সভ্যতা থেকে
সিন্ধু সভ্যতার দিকে;
সঙ্গে কেবলমাত্র লালন সাঁই;
তুমিও পারো পায়ে পায়ে পা মেলাতে;
তুমি হাঁটলে প্রজাপতি উড়বে জানি;
উড়ে এসে বসবে শরীরে, বুকের ভিতর;
যেখানে দলা পাকিয়ে ঘুমিয়ে থাকে বিবেক- বোধ – মনুষ্যত্ব…
শ্রীকৃষ্ণ অনেক যুগ আগেই ছেড়ে গেছে কুরুক্ষেত্র প্রান্তর;
অনেক আগেই নিভে গেছে জ্বলন্ত চিতা কাঠ:
তবুও তো মাঝেমধ্যেই শুনতে পাই
স্বজন হারানোর কান্না;
এক অশনি সঙ্কেত …
তাই এখন পথ চলতে চলতে আড়বাঁশিতে তুলি রাগ ইমন;
পথে পথে খুঁজি তোমাকে, তোমার রঙবেরঙের প্রজাপতি।।