কবিতা

কবিতা- ভালোবাসার অন্তরীক্ষে

ভালোবাসার অন্তরীক্ষে
-সুমিতা পয়ড়্যা

 

 

সেই দাদাঠাকুরও নেই
সেই তিনপ্রহরের বিলও হয়তো নেই; থাকলেও
কেউ দেখাতে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গী নেই।
অনেকগুলো তেত্রিশ পার হয়ে যায় বছরের পর বছর
তবুও কেউ কথা রাখেনি
কেউ কথা রাখে না!
জেনে গেছি কেউ কথা রাখে না।
সবাই এখন আকাশ ছোঁয়ার গল্প বলে
আড়ম্বর চাকচিক্যে নিজেকে দেখাতেই আনন্দ পায়
ছাদ ফুঁড়েড়ে আকাশ ছোঁবো ছোঁবো করছি
তাও বড় হতে পারলাম কই!
বড় মানুষ হতে পারলাম কই!
ভালবাসি বলতে শিখেছি
ভালোবাসা বুঝতে শিখেছি
কেমন করে ভালবাসতে হয় তাও শিখেছি
তবু আতরের গন্ধ পেলাম না তো!
বরুনারা কখনো ভালবাসতে পারিনি।
এত সুন্দর কে কেন নিতে পারেনি ওরা!
ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না বলেই একশ আটটা নীল পদ্ম আনো নি।
হৃদয় কাব্যে একশ আটটা পদ্ম গাঁথায় তো ছিল,
ভালোবাসি ভালোবাসি বলে উদাত্ত কণ্ঠে হাঁক পেড়েছ;
শুধু দিতে দিতে ঋণী করেছ সকলকে।
সকলেই সাগরে ডুব দিয়ে রত্ন পেয়েছে হাতের মুঠোয়।
কখনো রুক্ষতার অরূপ রতন পাহাড় কে কিনতে চেয়েছো
নদী,ঝর্ণা,অন্তরীপকে ত্যাগ করে
দশ দিককে উদ্দেশ্য করে ক্ষমা চাইতে শিখিয়েছো।
অনন্য স্বাদের আস্বাদনের ঋণী করেছো প্রতিমুহূর্তে
হৃদয়ে দিয়েছো তোমারি কাব্যগাঁথা
হয়তো তাই কেউ কথা রাখেনি।
কেউ কথা রাখে না।
আজও কেউ কথা রাখে না।

———–

(সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কবিতাগুলোর কিছু লাইন নিয়ে কবিতার প্রতিউত্তর।)

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page