সম্পাদকীয়

চর্বন নেশায়

চর্বন নেশায়
রীণা চ্যাটার্জী

সুধী,
প্রতিবাদ হলো, প্রতিযোগিতা হলো- প্রতিবাদের প্রতিযোগিতা হলো। প্রতিপক্ষ তৈরী হলো প্রতিটি পক্ষ-কালের আগে, মাঝে,পরে। কতোটা ইতরতার ঘ্রাণ এলো, কতক উড়ে গেল। কিছু মনের কোণে থাকবে, কিছু ধূপের ধোঁয়ার মতো উড়ে যাবে। প্রশ্ন একটাই লাভ কি হলো? ক্ষতি? তার নথিই বা কবে নির্ভুল এসেছে! সবটাই ধোঁয়াশা।

কায়েমী আসনে আপাতত ক্ষমতা সুরক্ষিত। পরিসংখ্যানে যুধ্যমান পক্ষ-বিপক্ষের শোণিতে মাটি ভিজে চললেও, আপাত দৃষ্টিতে শোরোগোল নেমে গেছে, যূথবদ্ধ জীবগুলো আবার জীবন-জীবিকার খোঁজে, উদর তো আর কোনো কথা শোনে না। তবে আবার হয়তো এর মধ্যেই দেখা হবে পচ্ছন্দের রঙীন পতাকার নিচে প্রয়োজনে- বিতর্কের বাগবিতণ্ডায়।

আমরা বিতর্ক বড়ো ভালোবাসি, বলা ভালো বিতর্কের মাঝেই আমাদের বাস। তাই বিতর্কের বিতর্কিত পঞ্চ ব্যঞ্জনে আমরা গণতন্ত্রের পূজারী, গণতন্ত্রের দেবতাদের আরাধনায় ভীষণ আগ্ৰহী। সংখ্যা গণনার দিন গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের মতো আমরাও ভুলে যাই পৃথিবী সর্বোপরি আমাদের জন্মভূমি জরা-ব্যাধিতে বড়ো ক্লান্ত। সেদিন সংবাদ মাধ্যমের সাথে আমদেরও জয়-পরাজয়ের সংখ্যা গুণতে গুণতে বেলা গড়িয়ে যায়- “আপনি কি মত!” বা “আপনি কি বলতে চান?” বিতর্ক উপভোগ করি। অতিমারীতে আক্রান্ত-মৃতের তথ্য সেদিন আর চোখের সামনে ‘ভাঙা খবরে’ ভাসে না বারবার সকাল থেকেই। সমর্থকদের উচ্ছাসে দেখি নিল্লর্জতার নিদর্শন- ফল? ডুবছে আরো ডুবছে জরা-সাগরে হাহাকার আর নিষ্ফল ক্রন্দনে। তাতে কি যায় আসে? সব তো সংখ্যা! তাই সাংবিধানিক- প্রশাসনিক পদমর্যদা জলাঞ্জলী দিয়ে শ্লীলতা-অশ্লীলতা বিসর্জন দিয়ে গণতন্ত্রের ধর্ষণ দেখি রোজ- যার পোষাকি নাম “ভোট শেষের হিংসা”। তর্ক.. তর্ক.. শুধুই বিতর্ক।

ক্লান্ত মন একটা সময় একটু শান্তি খোঁজে। আলাপী মন চায় আলাপনের আল্পনা। সুযোগ ধরা দেয় বঙ্গবাসীর মনের উৎসব- কবিপক্ষে। একটি ছোট্ট প্রয়াস- সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন প্রিয় সাথীরা। সফল কতটুকু? সে নির্বাচনের দায়ভার থাকলো প্রিয়জনের হাতেই। আবার নির্বাচন! থাক, শুধুই ভালোবাসা আগামীর পাথেয় হোক আমাদের।

শুভেচ্ছা, শুভকামনা আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে সকলের জন্য।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page