তৃষ্ণা-আর্ত
-অমল দাস
বদ্ধ জলে পাট নিয়ানো কাটির মত ভাঙতে চাইনি
আজন্মকাল অঙ্গীকারের ঢালে প্রস্তরের গাঁথুনি দেওয়ার প্রচেষ্টা
বন-বিলাসী লাক্ষাগৃহে অগ্নি সংকীর্তন পূর্বেই
হিমবাহের সমূহ পতনে মৃগ-নাভি সহ সমস্ত পাড় ভেসে যায়-
জলধারার চারিত্রিক অবনমনের নেতিয়ে পড়া খেলায়।
এরপর লতা লাথানো জঙ্গলের নিদ্রা ভাঙা পথে-
আড়ষ্টতার -নূপুরের মত উপুড় হয়ে পদ-চুম্বনে,
হাঁটুর বাটি-দ্বয় ভিক্ষার কর্তালসম মাথা ঠুকে লুটিয়ে পড়ে পাতালে।
পলকের আবডালে আঁধার সাগরে রূপালী মায়ার তারা জ্বলে।
জগতের সমস্ত নিস্তব্ধতা সমস্বরে তীব্র ঘা মারে নিরীহ কানের পাতায়
অতএব আর কি?
শোষণের সুদীর্ঘ পথ উল্লাসে উদ্ভাসিত
-ফেনিয়ে ওঠে বিজয় চিত্তে।
উঠে দাঁড়াবার পক্ষাঘাতে শুষ্ক উপত্যকার সরসরানি পাতাদের এলোমেলো দৌড়
উপহাসের চরণধূলি উড়িয়ে দেয় শায়িত অবসন্ন আধামৃত দেহে!
বিপর্যস্ত পাশার চাঁদোয়ায় প্রবোধ ফেলে বিমর্ষে ছক কষি
নিস্তেজ পড়ে আছি ক্ষুদ্র নুড়ির মত, -কাদামাটি চরে।
অন্তরে… গেঁথে যাওয়ার ভয়।
পাশে একহাত লকলকে জিভ বার করে তৃষ্ণার্ত সারমেয়-
ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকে-
জীবনের নীল রঙ মুছে যাওয়া মেঘলা আকাশে।