তপোক্লিষ্ট
-অমল দাস
বৃষ্টি চলে যাওয়ার পর বেদনার আর্দ্রতা নিয়ে
যে কাদামাটি পড়ে থাকে আমার সংকীর্ণ উঠানে;
তাতে বীজ পুঁতে দেখেছি -কোনও চারা জন্মায়নি।
পরিসরের বাইরে যে আগাছা-
বেখেয়ালেই জন্মে পৃথিবীকে চেয়ে দেখেছে,
সেই বেজন্মার দায় আমার নয়।
ঘড়ির কাঁটার অপসারণে সন্ধ্যা ঘনাবার মুহূর্ত দেখে
তুমি আঁধারের ভয়ে গাছের মগডালে উঠে আশ্রয় নিলে
অথচ তুষার আবৃত পাদদেশ জুড়ে আমি রাত্রিবাসের তাঁবু ফেলেছি।
শীতে কাবু পাহাড়ের মস্তক থেকে নিম্নগামী দেশ..
জলাশয়ে স্ফটিকের আঘাত দিয়েছি-
নিদ্রা ভাঙার জন্য।
সোনালী-রূপালী মাছ আয়নার মত সরল জলের বিশ্বাস ভেঙে
-নির্লজ্জের মতো প্রেমে মেতেছে।
যে বন্য আশ্রমে প্রশ্রয় নিয়েছি,
প্রভাকরের কৃপায় সকলেই তারা পর্ণমোচী।
শুধু জ্বালানী কাঠের মত শুকনো হচ্ছি,
এবং শুকনো…