কবিতা- “মানসিক ভারসাম্যহীন”

“মানসিক ভারসাম্যহীন”
-রাখী চক্রবর্তী

 

 

আঁধার ঘুচিয়ে সুর্য ওঠে প্রতিদিন,
রোজ নামচার নামাবলীর চাদর গায়ে জড়িয়ে
পথে বের হয় শত শত খেটে খাওয়া মানুষ,
শুধু আমি কর্মহীন..
আমি মানুষ এক মানসিক ভারসাম্যহী।
নোনা জল পান করেও তেষ্টা মেটে আমার,
দুর্গন্ধ অথচ খাদ্য সামগ্রীতে ভরা থাকে যখন ডাস্টবিন
আমার চোখ চিকচিক করে ওঠে, জঠর অনলকে শান্ত করতে গিলি সব গোগ্রাসে,
আমি মানুষ এক মানসিক ভারসাম্যহীন।
আমার মনের কথা বলি যখন প্রলাপে বিলাপে..
তোমরা তখন বলো, পাগলটা শাস্তি পাচ্ছে কে জানে কোন পাপে?
আমি ফুটপাতে নিশি যাপন করি, তবুও নই আমি ভিখারি,
পথই আমার একমাত্র সঙ্গী তা ভিড় হোক বা জনমানব হীন
আমি মানুষ এক মানসিক ভারসাম্যহীন।
আমার পাথর চাপা বুকে স্বপ্নেরা আছাড় মারে না,
চাওয়া পাওয়া নেই বলে কোন অনুতাপ মনে ঝড় তোলে না,
হৃদয়ে বাজে তাই সর্বদা খুশির বীণ
আমি মানুষ এক মানসিক ভারসাম্যহীন।
শহর জুড়ে ‌আজ সব মত্ত ভালোবাসাবাসিতে
এর কিছুটা সত্য, কিছুটা ভরা গোপনীয়তা’তে,
আমি একা,শুধু একা থাকি
মৃত্যুর প্রতীক্ষাতে
নিদ্রাবিহীন
আমি মানুষ এক মানসিক ভারসাম্যহীন।

Loading

Leave A Comment