কবিতা

কবিতা-“অদৃশ্য দৃশ্যমান”

“অদৃশ্য দৃশ্যমান”
-সুমিতা পয়ড়্যা

 

 

স্মৃতিগুলো বড় দুরন্ত
কখনো হাসায় কখনো কাঁদায়
মনের মাঝে উঁকি দিয়ে শুধু কিছু বলতে চায়,
একাকিত্বের সঙ্গী।
লুকোচুরি খেলতে খেলতে দিন কাটায়;
রাত যখন গভীর হয়; তখন শিশুর মতো
তার মাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে থাকে।
ভয় পায় সে পাছে হারিয়ে যায়!
ভয় পায় নতুন উৎস সন্ধানে!
যদি ভেসে যায়, যদি বিনাশ হয়,
যদি সবটাই আঁকিবুকিতে কালো হয়ে যায়!
স্মৃতিগুলো আনন্দের সমারোহের গান গায়।
নতুন ভাবে বেঁচে থাকে নতুন নতুন দিনে
অধরাকে অধরাই রেখে দেয়।
যার শেষ নেই, ধ্বংস নেই, নেই কোনো বিবর্ণতা
শুধু বলে ওঠে–“স্মৃতি সততই সুখের।”
প্রতিক্ষণ-প্রতিমুহূর্ত জীবনেরই গান গায়—
তা সে যতই অন্ধকার হোক, ক্ষত-বিক্ষত হোক!
মনের অন্তরালে সুখ দুঃখের স্মৃতিগুলো জ্বলজ্বল করে ওঠে
আবার কখনো বা ঝাপসা করে দেয়—
এই নাকি তার কাজ!
এই ভাবেই নাকি মানুষের বেঁচে থাকার রসদ যোগান দেয়,
স্মৃতিগুলো ভিড় করে আসে বন্যা মহামারীর মত,
বিবর্ণ, জীর্ণতার ধুলায় ধূসরিত পাতায় পাতায় তালে তালে গান গেয়ে ওঠে।
ভালো স্মৃতি, ব্যথায় পরিপূর্ণতা স্মৃতি অনেকটা ঠিক পর্ণমোচী বৃক্ষের মত!
কখনো কিশলয় তো কখনো শুষ্ক রুক্ষ!
ক্ষনিকের জীবনে স্মৃতিগুলোই থেকে যায় অসম্ভবের সঙ্গতে।
অদৃশ্য অথচ দৃশ্যমান।
জীবন আছে তো স্মৃতি আছে–
এ যেন এক মহা কালের চক্রাবর্ত, একে যেন অপরের পরিপূরক।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page