সোনার হরিণ
-সঞ্জিত মণ্ডল
সোনার হরিণ চাই যে আমি চাই যে ধরে নিতে,
খাই বা না খাই ছুটে বেড়াই ধরতে পারি না যে।
যে যা বলিস, যা খুশি তাই,শুনতে চাই না যে,
সীতার পতি রাম জানে না সোনার হরিণ মিছে!
তবুও ছোটে তার পিছনে প্রিয়ার সে আবদারে,
হোঁচট খেয়ে ভাই লক্ষ্মণ পাহারা দেয় তারে!
উদ্দেশ্যটা নয়তো ভালো দাদার অবর্তমানে,
ত্রেতা যুগেও এমন কথা ভাবা যায় না মনে!!
কানটা কালা হয়নি তবু বৌদির কথা শুনে,
গুণে গুণে গণ্ডি কাটে বৌদিরই কল্যাণে।
নতুন বউয়ের মেজাজ ভারী হোক না বনবাসী,
সন্দেহটা যায় না মনে দারুণ অবিশ্বাসী।
দীন ভিখারি সাধু এলো ফিরিয়ে দেবে তারে?-
লক ডাউনের গণ্ডি কাটা কি করে বিচারে?
কে কার কথা শোনে বন্ধু, কে করেছে মানা,
সেই ভুলটার প্রায়শ্চিত্ত সবার আছে জানা।
আগুনে ঢুকে তাকে যেমন পরীক্ষা দিতে হয়,
পতির পতি এক ভগবান আবার বনে পাঠায়!!
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতে বনে পাঠায় স্বামী!
রাম রাজত্ব বলে লোকে অবাক হয়ে মানি!
শাস্ত্র চর্চার অপরাধে শিরোচ্ছেদটা হয়
বিনা অপরাধে বালির গলা কাটা যায়!!
ত্রেতা যুগ না ঘোর কলিকাল অবাক হয়ে মানি,
সোনার হরিণ লোভের ফাঁদ সেটা সবাই জানি।
তবুও লোকে আজও ছোটে সোনার হরিণ চাই,
পাই বা না পাই ছুটে বেড়াই ন্যায় অন্যায় নাই।
গণ্ডি কাটা চলছে এখন ত্রেতা যুগের রেশ,
ভাগ্যহীনের কলিকালটা লক ডাউনেই শেষ।।