অনুসারীর ঘ্রাণে…
-অমল দাস
পূর্বসূরীর উপন্যাসে স্থাবরের হদিশ পেলেও,
প্রলেপের আস্তরণ বহুকাল খসে গেছে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া খাঁটি কাঁসার ঘটি-বাটিগুলি
কাঠের পাটাতনে ঝুল-ধূলোয় মঞ্চ সাজায় বিনোদনের।
অতীত কিছু আত্মতৃপ্তি পলিথিনে মুড়ে এখানেই পড়ে থাকে
আড়ার আড়াই হাত নীচে…
এর নীচের ছ’হাতে যে পাখির খোপ,
তা আমার, আমাদের সন্তান-সন্ততির
কোলাহলের চারণ ক্ষেত্র।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম – আসবাব – রতি সুখ- ঔরসজাতের দায়
আমাকে সংসার চক্রব্যূহে শর বিদ্ধ করতে পারেনা!
কানাঘুষোর উত্তপ্ত হাওয়া ঘুলঘুলির যে পথে আবহাওয়ায় মুক্তি পায়,
সেই পথেরই অনুসারী আমি…
আমার হৃদয় হারিয়ে যায় লালনের সন্ধানে
দূরে… অনেক দূরে… বাউলের গ্রাম..
পল্লীগীতি.. ভাটিয়ালী চরে.. .
সেখানে ভোরের সূর্য নদীর জলে রঙ তুলিতে চিত্র আঁকে,
নবান্নের সবুজ ধানে ঢেউ ওঠে,
মাঘীপূর্ণিমা রাধাচূড়াকে পোয়াতি করে ফাগুনের তরে,
বালুকা বেলায় সমুদ্রের সোপান জুড়ে শামুক ঝিনুক খেলা করে,
সান্ধ্যেয়-স্রোত নদীর পাড়ে ছলাৎ-ছলাৎ গল্প করে,
সেখানে অনাত্মীয়ের আত্মীয়েরা স্বপ্ন বোনে
সবুজ মাঠের ঘাসের উপর,
শাল সেগুনের মোহনায় গড়ান গেওয়া বাড়ায় হাত…
সেখানেই হারিয়ে যাই আপন মনে..
ফিরতে চাইনা আর…
ফিরবো একদিন ফেরার পথে নিঃস্ব হাহাকার হাওয়ায় ছেড়ে।
অপূর্ব প্রকাশ
ধন্যবাদ আপনাকে