গল্প- তরজা

।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।। 

 

তরজা
-অঞ্জনা গোড়িয়া

 

 

সেদিন ছিল আষাঢ় মাসের বিকাল। গল্পটা শুনে সবাই গম্ভীর মুখে বসে রইল। দত্ত গিন্নির পুকুর ঘাটে প্রতি বিকেলে বসে আড্ডার আসর।
বেলা শেষে পড়ন্ত রোদে বোস গিন্নী যা শোনালো। তা শুনে সবাই স্তম্ভিত। এযে রীতিমতো প্লান করে ঘটানো ।
শুনে প্রায় সকলের গা ঢিপ ঢিপ করে উঠল।
এমন টা যদি সত্যিই ঘটে থাকে। খুব চিন্তার বিষয়। প্রত্যেকের বাড়িতেই বউ- বাচ্চা আছে। এমন ঘটনা ঘটলে কেলেঙ্ককারীর শেষ থাকবে না।
আজকাল বিভিন্ন খবর চ্যানেল গুলো ও হয়েছে বটে। একটা কিছু খবর পেলেই ফলাও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিচ্ছে। কিংবা টিভি চ্যানেলে।
তাই খুব সাবধান। শক্ত হাতে বাড়ির চাবিকাঠি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নইলে উচ্ছন্নে চলে যাবে সুখের সংসার।
কথাগুলো একটানা বলে গেল ঘোষ গিন্নী।
মুখুজ্জে গিন্নী বলল, “আসল ঘটনাটা কি? সেটা তো বলো?

বোস গিন্নী বলল, বলছি গো বলছি।
তবে শোনো।
বলতে শুরু করল, বোস গিন্নী। আমাদের পাশের বাড়ির দিদির সোনার সংসার। মাস ছয়েক হলো ছেলের বিয়ে হয়েছে। নতুন বৌ টি ও বেশ সুন্দর। হাসিখুশি মন। দিব্যি চলছিল সুখের সংসার।
কিন্তু এখন প্রায় চিৎকার চেঁচামেচি শুনি। আমি ভাবলাম,নতুন বউয়ের সাথে শ্বাশুড়ির হয়তো বনিবনা হয়নি। তাই এমন অশান্তি।

পরে একদিন বউটার কান্নার আওয়াজ পেয়ে বাইরে এলাম। দেখি, নতুনবউ পাড়াসুদ্ধ লোকের সামনে বধূ নির্যাতনের কথা চিৎকার করে শোনাচ্ছে। ছেলে আর শ্বাশুড়ি মিলে নাকি রোজ মারধর করে। কারন হিসাবে জানায়,একটা দামী বাইক চেয়েছিল ছেলের মা। সঙ্গে দশ ভরি গহনা।

বাইক টা বিয়ের পরেই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ এত দিন পরে দিতে পারবে না বলায়, বউয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে।
সবাই শুনে ছেলে মাকে ছি ছি করতে লাগল। সামান্য গাড়ির জন্য কেউ এমন করে? এত সুন্দর বৌমার গায়ে হাত তোলা?

দুদিন হলো নতুনবৌ বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে।
আজ শুনছি থানায় গিয়ে বধূ নির্যাতনের কেস করেছে স্বামী শ্বাশুড়ির নামে। দেখে এলাম।বাড়িতে পুলিশ এসে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুজনকে।
কি কেলেঙ্কারির কথা বলো তো।

দত্ত গিন্নি শুনে বলে ওঠে, তা বেশ করেছে। রোজ রোজ বৌকে ধরে মারার সময় টনক নড়ে নি। এখন হাজত বাস করুক।
বোস গিন্নী এবার আসল কারন টা শোনালো। আরে আমার বিয়ের পর থেকে দেখে আসছি ও বাড়ির দিদি কত ভালো। আর ছেলেটাকে ও কোনো দিন ছোটো বড় কথা বলতে শুনিনি। তারা কিনা বৌয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে? কিছুতেই বিশ্বাস হয় নি। পরে শুনলাম সব।আসল কথা হলো বৌটি ইচ্ছে করে এদের ফাঁসিয়ে বিপদে ফেলেছে।
ঘর করার ইচ্ছে ছিল না। বাবা জোর করে বিয়ে দেওয়ায় এই পরিণতি। নিশ্চয় কোনো নাগর আছে বৌয়ের। যার জন্যই এমন কান্ড।
তাহলে ভেবে দেখো,একটা মেয়ে কিভাবে ফাঁসাতে পারে বাড়ির সবাইকে।

গল্পটা সবাই শুনে কিছুক্ষন চুপ। সবাই কেমন গুমরে ওঠে।
এমন ই সব বিষয় আলোচনা হতো পাড়ার এই বয়স্কা মহিলা আসরে।
প্রতিদিন পাড়ার সমস্ত বয়স্কাদের একটা জমায়েত হতো এই দত্ত বাড়ির বড়ো পুকুর ঘাটে।
এই আসরে ওপাড়ার ঘোষ গিন্নী,এপাড়ার মুখুজ্জ্যে গিন্নী থেকে আরম্ভ করে পাড়ার বয়স্কাদের বেশ একটা জমাটি আলোচনা চোখে পড়ার মতো ছিল। প্রত্যেকে নিজ নিজ সুখ দুঃখ আনন্দ যন্ত্রনা ভাগ করে নিতো। কথা বলে একটু হাল্কা হতো।
বাড়ির বৌদের পিন্ডি চটকাতে ও এ আসর বেশ জমে উঠেছিল।
না না সব গিন্নী যে শুধু বউদের নিয়ে আলোচনা করে, তা বলতে পারব না। আরো অন্য বিষয় ও থাকতো। যেমন ধরো এখনকার মেয়েদের চলাফেরা। আচরণ। ছেলে ছকড়াদের নেশা করা। সিনেমা স্টাইলে চুল কাটা , অসভ্যতা সব ই ছিল আলোচনার বিষয়।

সেই সঙ্গে ছেলেদের কি করে বউদের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখতে হয়,তার কায়দা আলোচনা। আসল কথা হলো সমস্ত বিষয়ে ই ছিল মুখ্য আলোচনা ।
দিনে দিনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠল আসর টা। হবে নাই বা কেন? সব বাড়িতে এক ই সমস্যা। বউদের সংসারে মন নেই। সারাক্ষণ ই হাতে ফোন নিয়ে ট্যাপ ট্যাপ করে ফোন টিপে যাচ্ছে। আর মুচকি মুচকি হাসে সারাক্ষণ। আরে বাবা এভাবে কি সংসার চলে? কিছু বললেই বলে ইউটিউবে রান্নার রেসিপি শিখছি মা। কাল ই নতুন একটা রান্না করে খাওয়াবো।

মুখুজ্জে গিন্নী বলল, “আমরা কি রান্না জানি না। বলো তো ঘোষ গিন্নী। এর জন্য আবার ফোনে শিখতে হবে। যতসব বদ বুদ্ধি”।

ঘোষ গিন্নি বলল,আমার বৌমা তো বুঝিয়ে দিল আমাকে “এসব তুমি বুঝবে না মা। কত কি দেখার আছে ? শেখার আছে জানো তোমরা? ফোনে সব কিছু শেখা যায়। জানা যায়।আছে ফেসবুক ওয়াটস এপ আরও কত কি?

দত্ত গিন্নি বলল, আমার বৌমা সারাক্ষণ নাকি ফোনে কবিতা , গল্প লেখে। বলে কিনা সমাজের নারীর বিরুদ্ধে কলম ই হাতিয়ার। কি ছাইপাঁশ লেখে জানি না বাপু। বলে আমি লেখিকা হবে।বলি এসব লিখে হবে টা কি? কিছু রোজকার হবে কি? শুধু শুধু সময় নষ্ট। এভাবে কি সংসারে মন থাকে? বলো তো?

সবাই একবাক্যে বলে উঠলো। এর একটা বিহিত না করলে আর চলবে না।
সবার হাতে সারাক্ষণ স্মার্টফোন। এসব আর সহ্য হয় না।
সারাক্ষণ কি সব লিখছে বুঝিনা বাবা। আমাদের সময় তো এসব ছিল না। কই আমাদের তো কোনো কিছু শিখতে অসুবিধা হয় নি।

এদের মধ্যে দত্ত গিন্নি ছিল তখনকার দিনে মাধ্যমিক পাস। তাই পেটে একটু বিদ্যেবুদ্ধি আছে। ফোনের কেরামতি একটু বোঝে। ছেলে বিদেশ যাবার সময় একটা স্মার্ট ফোন দিয়ে গেছে। তাই একটু শিখেছে ধীরে ধীরে। প্রতি দিন ভিডিও কলে ছেলের সাথে কথা বলে। মাঝে মধ্যে বাংলায় ম্যাসেজ ও করে।

ফেসবুক ওয়াটস এপ সম্পর্কে কিছু ধারণা ও হয়েছে।
তাই সবার হেড গিন্নী হয়ে বড়ো সড়ো ভাষন শুনিয়ে দেন সবাইকে।

বলেন, আজকাল বউদের হাতে ফোন দিলে কত কি ঘটতে পারে? তোমরা জানো কি? খুব সতর্ক থাকবে সবাই।এই বলে সব গিন্নিদের সাবধান করে দেন।

সেদিন বিকালের আসরে দত্ত গিন্নি বলেই দিল, আমার বউমাকে সব সময় চোখে চোখে রাখি। ফোন নিয়ে সব সময় ঘাটাঘাটি করা চলবে না। আমি কিছুতেই বরদাস্ত করি না। মুখের ওপর বলে দিয়েছি, অসময়ে একটু সেলাই শেখো। কিংবা রামায়ণ পাঠ করো। গীতা পড়ো।

ফোন নিয়ে এত কি যে করো?বুঝি না ভেবোছো? যত সব অজানা ছেলে বন্ধুর সাথে গল্প আড্ডা। বৌ মানুষের আবার ছেলে বন্ধু কি? স্বামী ই সব।
ফোন দেখলেই গা জ্বলে যায়।
তা এক্থা শুনে তোমার বউমা কি করল? মেনে নিল?
মানবে না মানে? মানতে বাধ্য। কড়া শাসনে রেখেছি আমার বৌমাকে। বলে দিয়েছি, এসব এ বাড়িতে চলবে না।
সত্যি কথা বলতে, আমার বৌমা খুব লক্ষ্মীবন্ত মেয়ে। আমার কথায় টু শব্দ টা করে নি।
আমার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে।
এই তো দেখে এলাম, রামায়ণ পাঠ করছে।

মুখুজ্জে গিন্নী মুচকি হেসে বলল, তবে যে সেদিন তোমার বাড়ি থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তা বুঝি কানে ভুল শুনলাম?

দত্তগিন্নীর চোখ দুটো ভারী হয়ে আসে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বিষয় টা ঘুরিয়ে দিয়ে বলল, কই দেতো এক খিলি পান? তোর হাতে সাজানো পান টা বেশ মজে মুখে। মুখের একটু স্বাদ বদলায়।

বুঝতে কারোর বাকি রইল না বিষয় টা ঘুরিয়ে দিতে চায়ছে। আসলে বৌমা ই সাবধান করে দিয়েছে শ্বাশুড়ি কে।
“খবরদার আমি এখানে কি করি, তা যদি তোমার ছেলেকে নালিশ করো। যে এক মুঠো ভাত পাচ্ছো, তা ও জুটবে না।”
যে কদিন স্বামী জীবিত ছিল, নিজের প্রভাব আধিপত্য পূর্ণ দমে ছিল।
তারপর ছেলের বিদেশ চলে গেল। পরের বার ফিরে এসে বৌমাকে নিয়ে যাবে।
কি লাভ?অশান্তি করে? বিদেশ বিভূঁই থাকে ছেলে। সব কথা শুনে যদি কষ্ট পায়। কে দেখবে তাকে?

ঘোষ গিন্নী আর চুপ করে থাকতে পারল না। আজ বলেই ফেলল, জানো দিদিরা আজ কি কান্ড করেছে আমার বৌমা?
সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শোনার অপেক্ষায়।

গল্প বলা শুরু করল,ঘোষ গিন্নী। আমি সবে একটু বসে মালা জপছি। ঠাকুরের নাম করছি।
কি যেন পোড়া পোড়া গন্ধ নাকে এলো।
ক্রমশ আরও তীব্র হলো।
আমি চেঁচিয়ে উঠি।
আরে এ যে দুধ পোড়া গন্ধ । “বলি ও বৌমা গেলে কোথায়? সব যে পুড়ে গেল। দুধের ছেলে টা খাবে কি?
এতক্ষনে টনক নড়ল বৌমার।

হাতে দেখি ফোন। ফোন টা হাতে নিয়েই তাড়াতাড়ি রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল। গ্যাস টা বন্ধ করে দেখে , দুধের হাঁড়ি পুড়ে কালো ।
একেবারে মাথায় হাত।
দুচার কথা শুনিয়ে দিলাম।
বলি কান্ডজ্ঞান বলে কিচ্ছু নেই। দুধ বসিয়ে ফোন ঘাটা?

এঘটনা শুধু আজ নয়। যেদিন থেকে নতুন স্মার্টফোন কিনে দিয়েছে ছেলে। সেদিন থেকে ই এই অবস্থা।
সংসারের কাজ করতে করতে সুযোগ পেলেই মোবাইল টা হাতে নিয়ে কি যে ট্যাপ ট্যাপ করে বুঝি না বাপু।

মাথায় হাত দিয়ে মুখুজ্জে গিন্নী। তোমার তো শুধু দুধ পুড়ছে। আমার যে সংসার টা পুড়ে ছাই হচ্ছে। মাছ কড়াইয়ে ভাজতে দিয়ে কোথায় উধাও। ব্যস পুড়ে কালো।
এমন কত কি রোজ ই ঘটছে। সংসারটা পুড়ে ছাই হচ্ছে।
তারমানে? সবাই এক সাথে।
মানে আর কি বলব? সে লজ্জার কথা।

সেদিন থেকে বৌমার চাল চলন চোখে পড়ল। যেদিন শাড়ি ছেড়ে বৌমা চুড়িদার,জিন্স টপ পরতে শুরু করেছে।
বিউটি পার্লার গিয়ে মেকাপ করছে। চুল কেটে কাঁধ পর্যন্ত করছে। জানো তোমরা এত সুন্দর চুল টা কাটতে একটু কষ্ট হলো না।

প্রথম যেদিন আমার ছেলের এক বন্ধু বাড়ি এলো। কথায় বলতে চায় না বৌমা। জোর করে চা জলখাবার দিতে পাঠালাম।
আর আজকাল, নিজে টিফিন খাইয়ে গল্পে মজে আছে সেই বন্ধুর সাথে।

এখন দেখি ছেলে না থাকলেও নানা অজুহাতে বাড়ি এসে হাজির। দুপুরে সকালে রাতে। আমার মোটেই ভালো ঠেকে নি চোখে। একদিন বৌমাকে বললাম। এসব গেরস্তের বাড়িতে রোজ রোজ আসার কি আছে? খোকাকে বলে বারন করতে পারো তো?

বলে কিনা, আপনার কি অসুবিধা হচ্ছে? আপনার ছেলের ই তো বন্ধু ।
অফিসের দরকারী কাগজ পত্র দিতে আসে। এসব আপনার ছেলে শুনলে কি ভাববে?
ব্যস আর কি বলি?
দত্তগিন্নী বলে উঠলো, “সময় থাকতে সাবধান হোও। এতো ভালো কথা নয়।
ছেলে বাড়ি ফিরলে সব খুলে জানিও।
তাতে যদি বৌমার কাছে খারাপ হোও তো, হবে।

না গো দিদি। অন্য সব দিকে আমার খুব খেয়াল রাখে। টাইম মতো ওষুধ দেওয়া। আমার শাড়ি কাপড় পরিস্কার করে দেওয়া সব নিজে হাতে করে। এই তো সেদিন আমার জন্য বৌমা নেট থেকে ভালো গরদের শাড়ি এনে দিল।
শুধু একটু অন্য দিকে মন দিয়ে ফেলছে।যদি সংসারে মন থাকতো। আর কোনো কিছু চিন্তা থাকতো না।

বুঝি গো সব। আজকাল বৌ দের ব্যাপার স্যাপার একটু অন্য রকম। একটু চোখে চোখে রেখো।
এমনি করেই প্রতিদিন ই কারোর না কারোর বৌমাদের নিয়েই চলত আলোচনার বিষয়।
প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পর মুখুজ্জে গিন্নীর আসা বন্ধ হয়ে গেল।

প্রথম ভেবেছিল শরীর খারাপ বুঝি। তাই আসতে পারছে না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওনার বড় বৌমা এখানে আসা বারন করে দিয়েছে।
সব কথা কানে গিয়েছে বৌমার। এখানে নাকি শুধু বৌমাদের কি করে জব্দ করতে হবে? সে নিয়েই আলোচনা হয়।
তার বেশ কিছু দিন পর খবর ছড়িয়ে পড়ল মুখুজ্জে গিন্নী ঘুমের মধ্যে ই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছে।

রাতে রোজ একগ্লাস গরম দুধ খেত মুখুজ্জে গিন্নী। সেদিন রাতে আদরের বৌমা ই গ্লাসে দুধ নিয়ে গিয়ে ছিল। ছেলে অফিসের কাজে বাইরে ছিল। সব শেষ হয়ে যেতে বাড়ি ফেরে ছেলে। মায়ের মুখাগ্নি দিতে।

দত্ত বাড়ির পুকুর ঘাটে এ ঘটনার পর থেকে আর আলোচনার আসর বসে না। আধুনিক বৌমাদের গুনকীর্তি নিয়ে আর কেউ সাড়া করে না। সবার ই বেঁচে থাকার আশা।
এই বয়সে কার সখ এভাবে ঘুমের ঘোরে মৃত্যু বরন করা।

সেদিন যদি মুখুজ্জে গিন্নী বৌমার চরিত্র নিয়ে আলোচনা না করত। হয়তো এভাবে চলে যেত না।
ঘুমের টেবলেটের শিশিটা টিন -বোতল ব্যাপারির কাছে খুঁজলে হয়তো এখানো পাওয়া যেতে পারে কিছু প্রমাণ।

মৃত্যুর ওপারে একটু শান্তিতে ঘুমাবে মুখুজ্জে গিন্নী। পাড়ার বয়স্কা আসর টা এভাবেই চাপা পড়ে গেল মুখুজ্জে গিন্নীর চিতার আগুনে।

Loading

Leave A Comment