।। অমর নাথ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার।।
করুণা
-সঞ্জিত মণ্ডল
এ কোনো মনগড়া অলীক কাহিনী নয়,বরং এ হল করুণার জীবন সংগ্রামের এক টুকরো করুণ চালচিত্র।
করুণাকে চিনতাম সেই প্রথম যৌবনের প্রারম্ভে, যখন বাবা-মা,দাদা-দিদি,ভাই-বোন,ঠাকুমা-পিসীমাদের থেকেও আরো অন্য কাউকে ভাল লাগার অনুভূতিটা আস্তে আস্তে শরীরে একটা শিহরণ তুলছে।একটা নতুন ধরণের লজ্জা মিশ্রিত আবেগ মনটাকে ক্ষণে ক্ষণে দুলিয়ে দিচ্ছে। অনাস্বাদিত ঞ্জান বৃক্ষের ফলের স্বাদ ভক্ষণের ইচ্ছা করছে। একটা নতুন ধরণের শালীনতা বোধের সংগে উচিত অনুচিত এর চাবুকটাও আড়াল থেকে চোখ রাঙাচ্ছে। সেই সেদিনের স্কুলের গণ্ডি ছাড়িয়ে কলেজে ঢোকার প্রথম পর্বের প্রথম গোঁফ গজানোর লজ্জা মিশ্রিত বড় হয়ে যাওয়ার দেমাকের দিনে হঠাৎই একদিন করুণাকে সামনা সামনি দেখে চমকে উঠেছিলাম।
চমকে উঠেছিলাম কেননা আমাদের এই অজ পাড়াগাঁয়ে এমন ডাগর চোখের ফুটফুটে সুন্দরীও আছে! কই আগে তো দেখিনি! নাকি আমারই দেখার কোনো অবসর ছিল না, নিজের ভবিষ্যৎ তৈরী করার তাড়নায়।
করুণা সেদিন দীঘির পাড়ের সেই ছোট বটতলায় ঢলে পড়া সূর্যের পড়ন্ত বেলায়, নিরালা নির্জনে প্রমত্ত খেলায় অবাক চোখে তাকিয়ে ছিল আমার সদ্য গজানো গোঁফ ছুঁয়ে দেখার বাসনায়। আমি সেই নিরালা নির্জনে ওর সেই নরম হাতের পেলব ছোঁয়ায় কেমন বিবশ হয়ে গেছিলাম।প্রথম যৌবনের সেই অবুঝ বেলায় ভালো লাগার এক অনাস্বাদিত মূহুর্তে হঠাৎ সম্বিত ফিরেছিল।
আমাদের এই অজ গাঁয়ের নাম রাঙাবেলিয়া। সেই যে বৈষ্ণব কানন,বংশীবদন, শাসন ছাড়িয়ে কীর্তনখোলা, তারপরে কৃষ্ণমোহন। আর কৃষ্ণমোহনের বুক চিরে যে মেঠো পথটা চলে গেছে দুপাশের ধানক্ষেত চিরে গাছ গাছালীর মধ্য দিয়ে, আকাশ যেখানে মাটিকে ছুঁই ছুঁই করছে, ওটাই রাঙাবেলিয়া। এখানে যেমন ধু ধু ধান ক্ষেত আছে, তেমনি আছে আম-জাম,তেঁতুল-নারকেল, বাবলা- বকুল আর কয়েত বেলের গাছ। আর আছে বেলে- মৌরলা,সরপুঁটি- ট্যাংরা,কই- মাগুর আর রুই- কাতলার অনেক পুকুর।
একটা ভাঙা শিবমন্দির আর একটা চন্ডীমন্ডপ ও আছে। আমাদের গাঁয়ের লোকের হাতে কাঁচা পয়সা বেশী নেই বটে তবে ঝালে- ঝোলে- অম্বলে আর ক্ষেতের ফসলে খাওয়ার কষ্ট প্রায় কারোরই নেই। সন্ধে বেলায় চণ্ডীমন্ডপে কীর্তনের আসর বসে।বড়রা বলে নদীয়া থেকে নদের চাঁদ নিমাই নাকি পুরাণো গঙ্গা বেয়ে এই পথেই এসেছিলেন নাম মাহাত্ম প্রচারে। তাই এ অঞ্চলের বেশীর ভাগ নাম বৈষ্ণব প্রধান, আর মানুষগুলোও বেশীর ভাগই বৈষ্ণবপ্রাণ।
গাঁয়ে আমাদের কলেজ নেই, তাই স্কুলের গন্ডী ছাড়িয়েই গ্রাম ছেড়েছি।শহরের হোষ্টেলে থেকে পড়াশোনা তারপর সরকারী চাকরী জুটিয়ে শহরেই বাসা- বাড়িতে থেকে দিব্যি আছি। কচ্চিৎ কদাচিৎ গাঁয়ের বাড়িতে যাই বটে কিন্তু সে অতিথির মতো। গুরুতর প্রয়োজন ছাড়া গ্রামে আর ফেরাই হয় না। বুঝতে পারি গ্রামের সাথে নাড়ীর টানটা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে।
এমনি এক ক্ষীয়মান টানেও অতি জরুরী প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে রাঙাবেলিয়ায়। অফিস থেকে বেরুতে একটু দেরীই হয়েছে।শীতের বিকেল। কখন যে টুপ করে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে হয়েছে টেরই পাইনি ট্রেনের মধ্যে। কৃষ্ণমোহনে যখন নামলাম তখন রাত আটটা বাজে।চারিদিক ঘুট ঘুট্টি অন্ধকার।কেবল ষ্টেশন মাষ্টারের ঘরে টিম টিম করে একটা ক্ষীণ আলো জ্বলছে। প্রচন্ড জোরে ঝড় উঠেছে। শন শনে হাওয়ার সাথে সাথে শুরু হল মুষল ধারে বৃষ্টি।ষ্টেশনে দু চার জন লোক ছুটোছুটি করে মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছে।আমিও জবুথবু হয়ে একপাশে সরে দাঁড়িয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছি।
একটু ওধার থেকেই শুনলাম যেন কার ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ।ভয়ের চোটে আমার অজান্তেই গলা থেকে রাম রাম ধ্বনি বেরিয়ে এল।তবুও ভালো করে ঠাহর করার চেষ্টা করলাম।আবছা অন্ধকারে কিছুই প্রায় দৃষ্টিগোচর হয় না। তার মধ্যেও ছায়া ছায়া কাকে যেন নড়াচড়া করতে দেখলাম। গা ছম ছম করে উঠল। ভয়ের একটা হিমেল স্রোত শিরদাঁড়া কাঁপিয়ে দিল।মরিয়া হয়ে চেঁচিয়ে ভয়ার্ত গলায় বললাম, ক্কে ওখানে ক্কে। উত্তরের পরিবর্তে ফুঁপিয়ে কান্নাটা আরো প্রবল হল। মনে আমার এটুকু প্রত্যয় দৃঢ হল যে আর যাই হোক অন্তত পক্ষে ভূত- পেত্নী বা কোনো অশরীরী আত্মা নয়।এটা অবধারিত ভাবেই মানুষের বা বলা ভালো কনো মহিলার ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ।
সেই ছেলে বেলা থেকেই কারো কান্না আমি কিছুতেই সহ্য করতে পারিনা।বুকের ভেতরটা কেমন দুমড়ে মুচড়ে ওঠে।আর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। ঝোড়ো হাওয়া আর অকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এগিয়ে গেলাম।
আবছা অন্ধকারে ষ্টেশনের কোনার দেওয়ালে হেলান দিয়ে মলিন বসনের একটি মেয়ে অঝোরে কাঁদছে।
আমার জিঞ্জাসার উত্তরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে মেয়েটি অতিকষ্টে যা জানাল তা হচ্ছে, কপাল দোষে আজ তাকে বাজারে বোঝা বেচে সংসার চালাতে হচ্ছে।মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতেই বলল, কত কষ্টকরে পয়সা জোগাড় করে হাট থেকে মাল গস্ত করেছে। মালগুলো বস্তায় বেঁধে একধারে রেখে আড়তদারকে কড়ায় গন্ডায় পয়সা মিটিয়ে দিয়ে পিছন ফিরে দেখে বস্তাসুদ্ধু মাল উধাও।চোখের জল মুছতে মুছতে সে আরো বলল,এই কেনা- বেচা,বোঝা- বেচার কাজে নতুন এসেছিগো দাদা,আড়তদারের হিসেব মেটাতে গিয়ে একটু আনমনা হয়েছিলাম এরই মধ্যে আমার এত কষ্টের পয়সায় কেনা মালগুলো কে নিয়ে পালিয়ে গেল! কাল কি করে যে ওদের মুখে দুমুঠো তুলে দেব সেই চিন্তায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি।
মেয়েটি অঝোরে কাঁদতে লাগল। চকিতে অন্ধকারের বুক চিরে বিদ্যুৎ ঝলসে উঠল, সশব্দে বাজ পড়ল কাছাকাছি কোথাও।আমি চমকে উঠলাম, বিদ্যুতের চকিত আলোয় এ আমি কার মুখ দেখলাম! আমার নবীন বয়সের সেই সুচির বাঞ্ছিতা! এ যে করুণা! কী হয়েছে ওর? অমন ডাগর চোখের সুন্দরী মেয়েকে আজ বাজারে বোঝা বেচে অন্নসংস্থান করতে হচ্ছে!
এই অন্ধকারে দুর্যোগের রাতে ও আমাকে চিনতে পারেনি।সেই নবীন যৌবনের অবুঝ বয়সেও আমি ওকে যতটা চিনতে পেরেছিলাম তাতে এটুকু আমার বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে এ মেয়ে হাজার দু:খে বুক ফাটলেও মুখ ফুটে কিছু বলবেনা।
মনটা খারাপ হয়ে গেল- বড্ড বিষণ্ণ বোধ করলাম।সেই নবীন বয়সে সামান্য একটু অনুরাগের ছোঁয়ায় পুলকিত হতে না হতেই গ্রামের সঙ্গে আমার চির বিচ্ছেদ ঘটে যায়। বিচ্ছেদ ঘটে করুণার সঙ্গেও। করুণা হারিয়েই গেছিল, আমার জীবন থেকেই শুধু নয় আমার সমগ্র বিবেক এবং অনুভূতি থেকেও।সেদিনের ওর সেই নরম হাতের পেলব স্পর্শ, আমার মুখের উপর ওর গরম নিশ্বাস, ওর সেই মধুর সান্নিধ্য, আর আমার হাত ক্রমশই অবাধ্য হতেই ওর সেই ছুটে পালিয়ে যাওয়া—- কেমন যেন এক ঝটকায় আমাকে সেই পিছনের দিন গুলতে আছড়ে নিয়ে ফেলল।
যথা সময়ে করুণার বিয়ে হয়েছিল এক সম্ভ্রান্ত পরিবারেই। স্কুলের গন্ডী ছাড়ানোর ঠিক পরেপরেই।তখনও আমি বেকার, পড়াশোনা শেষ হয়নি, ভবিষ্যতও গড়া হয়নি।করুণার বিয়ের খবর আমি পাইনি।কেউ আমাকে ওর বিয়ের খবর দেবার প্রয়োজন বোধ করেনি।আমার সাথে করুণার সামান্য স্পর্শ দোষ সেদিনের প্রদোষের আধো অন্ধকারে কিছু ঘটে যাওয়ার পূর্ব মূহুর্তেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। সে খবর কারোর জানার কথা নয়, আমারও বলার কথা নয়।
কিন্তু করুণা অন্ততপক্ষে বিয়ের আগে মুখ ফুটে সাহস করে বলতেই পারতো। তাছাড়া গ্রামের সঙ্গে আমার যে চির বিচ্ছেদ হতে যাচ্ছে সে খবর আর কেউ না জানুক করুণা জানতই।ও কিছু প্রকাশ করলে আমারও অস্বীকার করার উপায় থাকতোনা।নিতান্তই কাঁচা বয়সের কৌতুহল বশেই ও আমার সদ্য গজানো নরম গোঁফ স্পর্শ করতে চেয়েছিল।কিন্তু আমিতো জানি যে আমি ওর দিকে লোভের হাত বাড়িয়েছিলাম।
আজ এই দুর্যোগের রাতে করুণাকে কিছুতেই মুখ ফুটে আমার পরিচয় দিতে পারলাম না।কিন্তু ওর অত সম্ভ্রান্ত বংশে বিয়ের পরে কী করে এত বড় দুর্যোগ নেমে আসল ওর জীবনে সেটা জানার ভীষণ ইচ্ছাটাকে জোর করে চুপ করিয়ে রাখলাম।মুখ ফুটে শুধু বলতে পারলাম কত টাকার মাল কিনেছিলে?
করুণা এখনও ফোঁপাচ্ছে। ওই অবস্থাতেই বলল, তা শ- পাঁচেক টাকার হবে।
ভাবলাম বলি তুমি এই শ-পাঁচেক টাকা রাখো এই দুর্যোগের রাতে আর কেঁদনা বাড়ি ফিরে চলো।বলতে পারলাম না।করুণাকে যতদূর চিনি আমার অযাচিত দান সে গ্রহণ করবেনা। তাই বললাম,তুমি আমার সঙ্গে যাবে, আমি আড়তদারের সঙ্গে কথা বলবো।আমার মনে হচ্ছে, তুমি যখন মাল রেখে পিছন ফিরে দাম মেটাচ্ছিলে, সে সময়ে কে তোমার মালটা সরিয়ে নিল সেটা আড়তদার নিশ্চয় দেখেছে।
বৃষ্টিতো কমে গেছে,তুমি যাবে আমার সঙ্গে?
এখন গেলে আড়তদারের দেখা পাব তাই,করুণা বলল,মাল বেচা কেনা হয়ে গেলে সে ঝাঁপ ফেলে দিয়ে বাড়ি চলে যায়।
বললাম, একবার গিয়ে দেখলে কি হয়?
আমার কথায় এমন কিছু ছিল যে করুণা রাজী হয়ে গেল।অথবা এমন হতে পারে যে আমি যেমনটা ভাবছি যে আড়তদারই তার লোককে ঈশারা করে মালটা সরিয়ে দিয়েছে করুণাও সেই একই কথা ভেবে আমার সঙ্গী হতে রাজী হল।
আড়তদারের কাছে যাওয়ার পথে আমার জিঞ্জাসার উত্তরে করুণা বলল তার স্বামীর অদ্ভূত ব্যামোর কথা। সে খায় দায় আর দিনরাত্তির শুধু পড়ে পড়ে ঘুমায়। ঘুম ভাঙিয়ে কাজের কথা বলতে গেলেই তেড়ে মারতে আসে।কাঁপতে কাঁপতে দড়াম করে পড়ে যায়।গোঁ গোঁ করতে থাকে। ধরা ধরি করে শুইয়ে দিলে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। ডাক্তার রোগটার নাম দিয়েছে স্কিৎজোফ্রেনিয়া।
চমকে উঠলাম।করুণা লেখা পড়া জানা মেয়ে।ডাক্তারের বলে দেওয়া অসুখটার নাম সঠিক উচ্চারণে বলেছে।করুণা বলে চলেছে এখন শুধু ঘুম থেকে ডেকে তুলে খাইয়ে দিতে হয় আর ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে হয়।কপাল আমার এতো খারাপ যে একমাত্র ছেলেটাও নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারেনা।পাঁচ বছর বয়েস হল তাকে কোলে করে করে এখানে ওখানে নিয়ে যেতে হয়।ডাক্তার বলেছে পোলিও। ওর কডলিভার অয়েল আর ক্যালসিয়াম দরকার।
ষ্টেশন থেকে বেশী দূরে নয়।এখানে হাট-বাজার-আড়ত সব একসঙ্গে একাকার।পরিবহনের সুবিধার জন্যে এখানে এভাবেই গড়ে ওঠে কেনাবেচার জায়গা।দুর্যোগ থেমে গেছে।আড়ত এখনও বন্ধ হয়নি। সেই আড়তদার সেখানেই বসে আছে। আরো অবাক কান্ড করুণার গস্ত করা মাল সমেত পুরো বস্তাটাই রয়েছে আড়তদারের সামনে।
করুণা দেখামাত্রই চিনতে পেরে চেঁচিয়ে উঠে বলল, এইতো আমার মাল।আড়তদারকে ডেকে বলল, কিগো দাদা, আমার মালের বস্তা কোৎথেকে এল?
আড়তদার আমতা আমতা করছে।একলা মেয়েমানুষ যে এই ঝড় বাদলের রাতে হারানো মালের খোঁজে আবার ফিরে আসতে পারে তা সে ভাবতেই পারেনি।
করুণার সঙ্গে আমাকে দেখে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে বলল, যে নিয়েছিল তার বোধহয় হজম হয়নি, তাই ফেলে রেখে পালিয়েছে।
আমি থাকতেনা পেরে বললাম, তোমারই সামনে কেউ ওর মালটা সরিয়ে নিয়ে গেল আর ও চলে গেলে মালটা তোমার কাছেই ফেরৎ আনল, সে তোমার চেনা লোক নিশ্চয়ই? তেমনই দাঁত বের করে আড়তদার বলল,আমি চিনতে পারলে তার পিঠের চামড়া ছাড়িয়ে নিতাম না।
যা বোঝার আমি বুঝে গেলাম।করুণাও বোধকরি বুঝতে পারল যে আড়তদারই যোগসাযোগ করে তাকে আতান্তরে ফেলেছিল।
আমি করুণার দিকে ফিরে বললাম,এত মাল একা নিয়ে যাবে কি করে?
করুণা আমার দিকে না ফিরে বস্তাটা সাইজ করতে করতে বলল, আপনি একটু দাঁড়ান, আমি একটা ভ্যান ডেকে আনছি।
করুণা একটা ভ্যানরিক্সা ডেকে মালগুলো ভ্যানে তোলাল, তারপর সেই ভ্যানে চড়েই অন্ধকার গ্রামের পথে ছায়ার মতোই মিলিয়ে গেল।
আমার মনে হলো, আজো যেন করুণা সেই সেদিনের মতোই অন্ধকারে ছুটে পালিয়ে গেল।অবাক হলাম,একবারের জন্যেও করুণা আমার নাম বা পরিচয় জানতে চায়নি। আমি চিনলেও করুণা কি আমাকে চিনতে পারেনি। নাকি ও আমাকে চিনতে চায়নি! তবে কি করুণা আমাকে করুণা করেই তাড়াতাড়ি অন্ধকারের পথে হারিয়ে গেল! ঠিক সেই সেদিনের মতো।