কবিতা সুন্দরীর সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংলাপ
-সুনির্মল বসু
ডাহুক ডাকা সকাল ডাক দিয়ে যায় ভোরের ঠিকানায়,
শাপলাশালুক জেগে থাকে ঝিলে, মাছরাঙ্গা পানকৌড়ি উড়ে যায় বিলে,
পদ্ম পাতার শিশির ভেজা সীমানায়- গঙ্গা ফড়িং, প্রজাপতি বন্ধু হয়ে যায়,
আমি বসে থাকি চেয়ে থাকি খোলা জানালায়,
সে আসে, পথ চেয়ে বসে আছি যার আশায়,
প্রভাতী হাওয়ায় সে ভেসে ভেসে আসে, খোলা সবুজ মাঠে রং ছড়ায়, তার আকাশী রঙের শাড়ি বাতাসে ওড়ে, আমি পড়ে যাই ভালোবাসার ঘোরে,
এই মেয়ে, তুই থাকিস কোথায়?
কি হবে জেনে?
তোকে জানতে ইচ্ছে হয়,
আমি পৃথিবীর কেউ নই,
তুই কি আমার মেঘমালা,
আমায় নিয়ে এত লেখো, আর আমাকে চেনো না,
বুঝতে পারছি না যে,
কি বোকা,
জানি,
বোকা বলেই তুমি ভালো,
কেন?
ওই যে প্রতিদিন আমার সঙ্গে আছো,
এই মেয়ে কোথা থেকে এলি,
দিগন্তের পারে আমার বাড়ি,
পরিষ্কার করে বলো, নইলে আড়ি,
বললাম তো, আলোকবর্ষের পার,
বুঝেছি, কল্পনা অপার,
জানিস মেয়ে, আমি বড় দুঃখী,
জানি, সোমলতার জন্য,
আমাকে না বলে সে চলে গেল,
সোমলতারা চলে যায়,
কি নিয়ে থাকি,
বেশ তো আছিস,
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই,
মন ভালো রাখা নিজের হাতে,
যতক্ষণ তুই থাকিস আমি ভালো থাকি, তারপর আবার স্মৃতিতে সোমলতা আসে, কষ্ট দেয়,
আমার সঙ্গে যাবে?
কোথায়?
তারার দেশে, সেখানে গেলে সোমলতাকে
ভুলে যাবে,
যাব, আমি তো যেতেই চাই,
সঙ্গে আর কিছু নেবো,
কবিতার খাতা আর কলম,
বুঝেছি, ওটাই আহত হৃদয়ের মলম,
কখন যাব?
আজ রাতে যখন আকাশে তারা ফুটবে, চাঁদ উঠবে,
তুই নিয়ে যাবি,
আমি আসবো, আমি তোমায় নিয়ে যাব,
কি করে বুঝবো?
বাতাস বলে দেবে,
কি করে চিনবো? কবিতা সুন্দরীকে চেনো না বুঝি সে তো সবসময় তোমার সঙ্গে থাকে, সে সোমলতার মতো মত স্বার্থপর নয়,
আশ্চর্য, এমনো হয়।