হঠাৎ পাওয়া
-পাপিয়া ঘোষ সিংহ
কাটছিল জীবন ভালোমন্দ মিশে,
চার দেওয়ালের সুখের রাংতা মোড়া,
ভোর থেকে রাত গন্ডি কাটা সময়ে
আপন হাতে রচেছিলাম সে কারা।
মন বলেছিল এই তো জীবন বেশ,
স্বপ্নগুলো ভাঙছিল জোর শব্দে
তবুও ভাঙন আটকে রেখে দু’হাতে
দিবানিশি থেকে মাস পেরিয়ে অব্দে।
কোথাও ছিল না একটুকু খোলা হাওয়া
বায়ুশূন্যতা ভরেছিল কুঠুরিতে,
প্রশ্বাসে তবু অক্সিজেনের জোগান
ভালোবেসে কভু দিইনি কম হ’তে।
তবুও কোথাও জীবন হচ্ছে শেষ,
প্রতিদিন বুকে হাতুড়ি মারার শব্দ,
সাইরেনের সেই কর্ণকুহর ভেদ
হাসিখেলা সব বোবাকান্নায় জব্দ।
সুখের ভরমে নিজেকে হারিয়ে দিয়ে
সম্বিতে দেখি বিলুপ্তপ্রায় আমি,
হঠাৎ সজোরে দরজা খোলার শব্দ
ওইতো জ্যোতি, এলো অন্তর্যামী।
মুখে দিল ভাষা, হাতেতে কলম খুলে
অনুভূতিগুলো তুললো সে জাগিয়ে,
শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে নিয়ে
কথামালা থেকে উঠলো কবিতা হয়ে।
এসেছো যে তুমি মুক্ত বাতাস হয়ে
ফিরে পেলাম সেই নতুন ভালোবাসা,
নতুন ছন্দে, নতুন কবিতা সাথে
ফিরে পেলাম জীবনে বাঁচার আশা।