সম্পাদকীয়

ত্রাহি মাম…

ত্রাহি মাম…

রীণা চ্যাটার্জী

সুধী,
উৎসব আবহে কিছুটা হলেও উদ্বেগের ছবি- কেন, কি জন্য সবটুকু বিতর্ক। কোনো শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এই বিতর্ক চান না, এই পরিস্থিতি কাম্য নয় কারো কাছেই- তবুও ফিরে ফিরে আসে পরিক্রমণে। প্রতিবাদী ঝড়, প্রতিবাদে শাণিত কলম গর্জে ওঠে। তারপর… শুধুই পর পর, আবার..
দেবীর আহ্বানে বড়ো পরিচিত সুর-
“আয়ুর্দ্দেহি যশোদেহি ভাগ্যং ভগবতী দেহি মে। ধনং দেহি পুত্রান্ দেহি সর্ব কামাংশ্চ দেহি মে..” দেহি দেহি রবে আলোড়িত হয়ে ওঠে।
আরো এক পরিচিত সুর- “হর পাপং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম্। হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে…”
আহ্বান করে দেহি দেহি রব, আর সব কিছু ছেড়ে ফেলে চাপিয়ে দেওয়ার “হর..হর” আকুল আকুতি বৈদিক মন্ত্রের কোন যুক্তি প্রমাণ করে! এই প্রশ্নের উত্তর পেলাম না, তবে আজকের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে হয়তো মনে হয় এই হিংসা, বর্বরতা চিরকালীন- আমরা হয়তো উর্বর হতে পেরেছি, তবে বর্বরতা ছাড়তে পারিনি।
তাই জানতে-অজান্তে আমরা নিস্তার পেতে চাইছি নিজেদের কৃতকর্মের থেকে ও কর্মফল থেকে। আমরা কর্ম করে শেষে শুধু বলবো- “ত্রাহি মাম…ত্রাহি মাম..” আর কিছু হোক না হোক ছলনার আশ্রয়ে শান্তির অন্বেষণ।
আগামী শুভ হোক, এর বেশী বলার ভাষা নেই।
শুভেচ্ছা, শুভকামনা আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে।

Loading

4 Comments

  • Anonymous

    যতক্ষণ দেহ ততক্ষণ দেহি। প্রত্যাশা পুরণের ATM এর নাম ঈশ্বর।
    ভয় আর প্রত্যাশা না থাকলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।
    ভক্তগন মার্জনা করবেন ।

Leave A Comment

You cannot copy content of this page