খোলা চিঠি
-পায়েল সাহু
কতো দিন তোমার ফোন আসেনি শুভ,
কতদিন মাঝ রাতে আচমকা তোমার ফোনে ঘুম ভাঙ্গেনি।
ছেলের ছোটো ছোটো দুষ্টুমি আর মজার কথাগুলো তোমাকে জানানো হয়নি কতোদিন…
মাঝরাতের ফোনে তোমার সেসব মিথ্যে ভয় দেখানো
বা আমাকে দেখতে চাওয়ার হুকুম,
অনন্ত কাল কথা বলে যাওয়ার আবদার,
তোমায় ঘুম পাড়ানোর সেসব ভালোবাসা
হারিয়ে ফেললাম সব?
সত্যি কি তাই?
সত্যিই কি তুমি নেই?
চোখ দিয়ে জল আপনাআপনি গড়িয়ে পড়ে জানো।
মনে হয় এই তো কটাদিন,
তুমি আবার ফোন করবে, ছেলেকে ছেড়ে তুমি থাকতে পারবেই না,
আমার কথা না হয় বাদই দিলাম।
চোখের সামনে ভাসে শেষের দিনের ছবি…
চলে যাওয়ার আগে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলে বুকে!
ভাবতে পারিনি ওটাই তোমার শেষ আদর
ওটাই তোমার শেষ ছোঁয়া!
কি অপরাধে ছেড়ে গেলে আমাকে তাও জানতে পারলাম না।
তুমি থাকতে থাকতে তো বুঝিনি এমনভাবে ভালোবাসি তোমাকে,
তখন তো বুঝিনি তুমি না থাকলে বুকটা ফেটে যাবে…
নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেছিলাম!
জানিনা…
আজ আর কিছুই বুঝতে পারিনা,শুধু দীর্ঘশ্বাস পড়ে শুভ,
তোমার সে আলিঙ্গন বহুদিন অব্দি শিহরিত করেছে আমায়,
চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করেছি তোমায়…
আর ভেবেছি,
এখনো ভাবি…তুমি ফিরবে আবার,
আবার জড়িয়ে নেবে তোমার বুকের গভীরে,
আবার উত্তপ্ত হবে আমাদের ঠোঁট, শরীর
ভিজবে মন অঝোর বরষায়…
ফিরে এসো…ফিরে এসো তুমি।
অধিকার দাবী করবো না আর ভুল করেও,
ভিখারিণীর মতো করে প্রেম ভিক্ষা করছি না,
ওটা তোমার ছিলো না কোনোদিনই,
উপলব্ধি করিনি কখনো।
তবু ভিক্ষা করছি তোমার সঙ্গ…
তোমার স্পর্শ,
শুধু আমার জন্য নয়, তোমার বংশধরের জন্যেও।
ফিরিয়ে দাও আবার সে আদুরে মুহূর্ত
সন্তান সুখে তোমার মুখের লক্ষ টাকার হাসি,
পিতৃত্বের দাবীতে তোমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,
ফিরিয়ে দাও আমার আবার সেসব সুখের জল আল্পনা।