সম্পর্কে
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
সম্পর্ক বহুরূপে বহুরূপী। কণ্ঠে তার নানান সুর- মিঠেকড়া, কড়ামিঠে, কড়া, মিঠে, তিক্ততা সেও এক অবশ্যম্ভাবী সুর।
একটা জীবন আয়না যথেষ্ট নয় সব রূপ দেখার জন্য, অভিজ্ঞতার পলেস্তরায় সেই আয়নাও ক্রমশঃ ধূসর হয়- অস্পষ্ট ছায়া সব। বাইরেটা দেখা গেলেও ভেতরটা বোঝা বড়ো দুষ্কর- সব জট জড়িয়ে আছে, খোলার বা বোঝার সাধ্য সরল মনের কর্ম নয়। যেন এক নদী- কখনো নাব্যতা দোষে দুষ্ট, কখনো বা আগল ছাড়া স্রোতস্বিনী, কখনো অচেনা ঘুর্ণনে চোরাবালির ফাঁদ। পাড় ভাঙাগড়া খেলায় মেতে সম্পর্কের বুনন আলগা- ভীষণ জটিল, হয়তো গভীর।
তবে তার মধ্যেই তারা জিতে যায়, যাদের ভাবখানা “আমার যেমন বেণী তেমনি রবে, চুল ভেজাবো না..” সংসার-সরসীতে গা ভিজিয়ে শীতলতা, স্নিগ্ধতা সব নেবে, কিন্তু পাঁক জমলে দায় নেবে না- জমা পাঁকের দুর্গন্ধে যে তার মালিন্য মিশে আছে, তা মানতে নারাজ। শুধুমাত্র সুখ-সুযোগ সন্ধানীর বাজিমাত । জিতে যায়.. এরাই হাসি মুখে জিতে যায়। চারপাশে এমন মানুষের ভীড়ে ব্যতিক্রমী চরিত্রগুলি সমর্পণের সর্পিল বাঁকে নিঃশ্বাস নিতে চায় একটু শান্তি খুঁজতে- তাও জোটে না। শুধু বাহারি সম্পর্ক টিকে থাকে জাঁকজমকের কেতাদুরস্ত স্বার্থের হাটে আত্মার অবনমন ফেরি করে।
সম্পর্ক বলিয়ে নেয় অনেক কথা- জীবনের প্রতি পলে কখনো নীরবে, কখনো সোচ্চারে। তবুও অধরা সব শব্দ, সব অনুভূতি- জীবন সায়াহ্নের ম্রিয়মান আলোয়। “পরিবার” শব্দটা ব্যঙ্গের মুকুটে শোভিত থাকে সমাজের বুকে।
উৎসবের মরশুম প্রায় শেষ- হেমন্তের বিন্দু বিন্দু শিশির হিমেল বার্তা নিয়ে প্রায় দোরগোড়ায়, হৈমন্তী শুভেচ্ছা আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে সকল শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুদের।
কিছুই করবোনা ! ধরা না পরিলে সব করেছি। ঠোঁট লাগাবো না কিন্তু ঝোল খাবো -পরিবারের এই গোছের প্রাণীগুলোর প্রতি চাবুক । কলমকে কুর্ণিশ।
ধন্যবাদ অশেষ
সম্পর্ক এমন এক বিষয় যাকে ছোট শব্দ কোলাজ করে ব্যাখ্যা চাপ আর সেটাকেই নিপুণ ভাবে অনুভবের রঙে বুনেছেন দিদি।খুব সুন্দর লাগলো
বিশেষ প্রাপ্তি ভাই