কবিতা- চেতনা

চেতনা

-অমল দাস

 

 

 

বর্ষার জলে তৃপ্তি উপচে পড়ার পর

নিংড়ে তোলা দিনগুলি কাঠগোলার শাল-কাঠের মত

ভাপ ছেড়ে সিদ্ধ হতে থাকে।  

সাঁঝের র‍্যাঁদা ঘষতে -একটু মসৃণতা পেলে  

জোনাকির আলোয় চমকাতে চায়!

যদিও ঘর্ষণ আধিক্যে-  

        ‘ন’ মাত্রা হারিয়ে ‘ণ’-এ খাবি খায়  

ফিতে দিয়ে পরিমাপের পর দৈর্ঘ্য ডেকে বলে,   

প্রস্থের ঘাটতি।  

 

 

তখন প্রতিবিম্বের আয়নাটা মৃদু হাওয়ায় পড়ে ভাঙলে

ডেনড্রাইট দিয়ে খাড়া করা যায়-

                   জোড়া-তাপ্তির সূত্র কষে।  

ভঙ্গুর তলের উপরিভাগে চেতনার প্রলেপ ঢাললেও

ক্ষতের দাগ মুছে পূর্বরাগ আর ফিরে আসেনা!              

 

মনসামঙ্গল থেকে বেহুলাও আর ফিরে আসেনি-

নিথর কাঠামোয় কিশলয়ের রঙ লাগাতে। 

 

 

সওদাগরের পাল-ডিঙা –যন্ত্র শক্তির জাহাজ এখন

সৌহার্দ্য গোয়ালে বেঁধে- 

         বন্দরে বন্দরে ধান্দার নোঙর ফেলে।

আসা যাওয়া পথে কতগুলি খিলান সমুদ্রের লাথ খায়

ক্যালানের মত দাঁড়িয়ে -তারা গোনে জলে

ভ্রমণ-পিয়াসী দল এফোঁড়-ওফোঁড়ে সুখ পায়!

সুখ..

সূর্যের রঙ তট ছুঁয়ে ডুবে গেলে

একঝাক সমুদ্র চিল আঁধারে হারিয়ে যায়

শাড়ির আঁচলে জ্যোৎস্না বেঁধে ইন্দুবালা তুমি এলে না…   

 

Loading

4 thoughts on “কবিতা- চেতনা

  1. ভীষন গভীর ভাবনার দারুন কবিতা।অনেক শুভেচ্ছা

Leave A Comment