চেতনা
-অমল দাস
বর্ষার জলে তৃপ্তি উপচে পড়ার পর
নিংড়ে তোলা দিনগুলি কাঠগোলার শাল-কাঠের মত
ভাপ ছেড়ে সিদ্ধ হতে থাকে।
সাঁঝের র্যাঁদা ঘষতে -একটু মসৃণতা পেলে
জোনাকির আলোয় চমকাতে চায়!
যদিও ঘর্ষণ আধিক্যে-
‘ন’ মাত্রা হারিয়ে ‘ণ’-এ খাবি খায়
ফিতে দিয়ে পরিমাপের পর দৈর্ঘ্য ডেকে বলে,
প্রস্থের ঘাটতি।
তখন প্রতিবিম্বের আয়নাটা মৃদু হাওয়ায় পড়ে ভাঙলে
ডেনড্রাইট দিয়ে খাড়া করা যায়-
জোড়া-তাপ্তির সূত্র কষে।
ভঙ্গুর তলের উপরিভাগে চেতনার প্রলেপ ঢাললেও
ক্ষতের দাগ মুছে পূর্বরাগ আর ফিরে আসেনা!
মনসামঙ্গল থেকে বেহুলাও আর ফিরে আসেনি-
নিথর কাঠামোয় কিশলয়ের রঙ লাগাতে।
সওদাগরের পাল-ডিঙা –যন্ত্র শক্তির জাহাজ এখন
সৌহার্দ্য গোয়ালে বেঁধে-
বন্দরে বন্দরে ধান্দার নোঙর ফেলে।
আসা যাওয়া পথে কতগুলি খিলান সমুদ্রের লাথ খায়
ক্যালানের মত দাঁড়িয়ে -তারা গোনে জলে
ভ্রমণ-পিয়াসী দল এফোঁড়-ওফোঁড়ে সুখ পায়!
সুখ..
সূর্যের রঙ তট ছুঁয়ে ডুবে গেলে
একঝাক সমুদ্র চিল আঁধারে হারিয়ে যায়
শাড়ির আঁচলে জ্যোৎস্না বেঁধে ইন্দুবালা তুমি এলে না…