মালতীর শেষ অধ্যায়
–সুবিনয় হালদার
জন্মানোর সাথে সাথে বাঁচার লড়াই
বলা ভাল- মায়ের গর্ভে যখন সবে মাত্র ঠাঁই..
সেই দিন থেকেই টিকে থাকার আপ্রাণ যুদ্ধ, আঁকড়ে ধরা, মানিয়ে চলা, অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করা-
মায়ে- পোয়,
রক্তের টান,উর্বর জমি ভাগ হতে দেখা-,
ওই মুখোশ পড়া ভাল মানুষদের ছলচাতুরী আর ক্ররতার কাছে!
যারা শুধু স্বার্থ আর অর্থের ক্ষমতাবলে
ভোগ করে এসেছে বারংবার,
সেকি যন্ত্রনার- কোলছুট সেই ডাস্টবিনে অথবা
নর্দমার পাশে পড়ে থাকা নিষ্পাপ শিশুটি জানে
আর জানে তার গর্ভধারিণী,
ত্যাগ করা কাটা নাড়িরটান কি জ্বালা, কি বীভৎস কষ্ট!
প্রেমে কি হয় কোনো শর্ত?
বাঁচার তবে কি অর্থ?
হারিয়ে যাচ্ছে একে-একে
নির্মল পরিবেশ,
ভালবাসা মায়া মমতা কিলো দরে-
হাত ফেরি হয় পণ্য বাজারে,
থাকে পড়ে বিবর্ণ শুকনো বাতিল কিছু শেষমেশ!
আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিয়েছে
ফার্ন আর শ্যাওলা
জঠর হয়েছে অসুস্থ,
মৃতপ্রায় মনুষ্যত্ব বিক্রিত,
অনেক মন পাল্লা দরে –
খোলা বাজারে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ অসহায় হয়ে শুধুই কাঁদে!
কে তুমি পথিক আছো দূরে দাঁড়িয়ে?
নিয়ে চলো দূরে বহুদূরে আমাকে,
বাহিরে তপ্ত হাওয়া ভিতরেও জ্বালা –
মাটি ফেটে চৌচির শুকিয়েছে জীবন
শীর্ণ জীর্ণ জরা চেপে ধরেছে মজ্জা,
সবাই চায় তার মত করে
নচেৎ সর্বনাশ!
হিসাবের অঙ্ক মেলেনা শেষমেশ
জীবনের গণিত অন্য কথা বলে,
দীপ নিভে গেলে আঁধারেতে ঢাকে চারিপাশ
ফিরে ফিরে আসে ঝাপসা স্মৃতি-
কালো ধোঁয়াতে ছেয়েছে আজ পৃথিবী,
পারিনা নিতে শ্বাস..
দিন যায় রাত আসে–
এভাবেই কাটে বছরের পর বছর মাসের পর মাস
অপেক্ষা আছি, শুধুই অপেক্ষা…!!