বিসর্গ
-অমল দাস
বর্গীদের গিলে অবশেষ
-এই যে এই পিচ-মোড়া পথ,
এই দিকে সেই প্রান্ত -ওই দিকে ওই..
এ পথেরই কোনও এক কোণে-
বনানী ত্যাগী অশ্বত্থের বিমর্ষ ভাঙা পোড়া ঘর।
তুমি প্রায়ই চুপি-চুপি আসো আর চুপি-চুপি যাও!
হয়তো পরিখায় ঘেরা জীর্ণ দূর্গের ভিতর-
অন্ধকার কূপে মনে মনে হাসো!
যে হাসিতে নিভে যায় বৈকুণ্ঠেরও তৈলাক্ত শিখা।
বিদ্রূপের জলাশয়ে থৈ-থৈ জল – উপচে পড়ে..
অথচ ভুলোসাথী -রোজ জল ঢেলে তৃষ্ণার পাথরে
ধুয়ে নিতে পারতে বিগত শতাব্দীর ভগ্নস্তূপ শ্মশানের ছাই!
উষ্ণ নিঃশ্বাসের বিন্দুর বিসর্গ.. ভেঙে দিতে পারতো
মৃতপ্রায় মূলে মৌন-দুয়ারে শয্যা শায়িত
- অশ্বত্থের চিরায়িত ঘুম!
বসন্তে সবুজের কচি কচি পাতা এলে-
তুমি নাম লিখে দিতে প্রতিটি বৃন্তে।
হৃদয়ের মত কোমল আঙুল দিয়ে-
প্রাক গোধূলির স্নিগ্ধতায় ছুঁয়ে যেতে রোজ।
অশ্বত্থ ঝুঁকে আছে – আরও একটু ঝুঁকে
তুমি ছুঁয়ে নিতে চোখে, চুলে-ঠোঁটে-গালে..