কবিতা- স্বজন

স্বজন
-সঞ্জিত মণ্ডল

 

 

স্বজন কি শুধু রক্তেই লেখা থাকে
পিতা মাতা বধূ ভাই বোনেদের জানি
স্বজন তো জানি এর বাইরেও হয়
বসুধৈব কুটুম্বকম মানি।
কতো বন্ধুকে স্বজনও তো ভাবা যায়
কাজের মাসিরা ডুব দিলে হাহাকার
ডাবয়ালা ছেলেটা ডাব দেয় রোজকার
পটাশিয়ামের অভাবটা দূর হয়।

স্বজন ভেবেছি ফুলওলি মেয়েটিকে
পুজোর ফুল, বেল-তুলসী পাতাও দেয়
ঝালমুড়ি আর আইসক্রিমওয়ালা আসে,
ফুচকাওলার তেঁতুল জল কে না চায়।
বাস ড্রাইভার, কন্ডাকটর অটোয়ালা ছেলেটাও
সারাদিন রাত দৌড়াদৌড়ি করে
নিরাপদে কতো যাত্রী পৌঁছে দেয়
স্বজন তাদের না বলে বা কি উপায়?

খেয়াঘাটের ওই মাঝিটার দিকে দেখো
রোজ কতো লোক খেয়া পারাপার করে
চাষি ভাই আর সবজি বিক্রেতারা
যারা মাছ বেচে তারাও স্বজন হয়।
ট্রাফিকপুলিশ তাদেরও স্বজন ভাবি
ডাক্তাররা তো কতো অসুখ সারায়
মুটে মজুর আর হকারের কথা বলি
ভ্যান আর রিক্সাচালক যারা তারাও স্বজন হয়।

শিক্ষক যারা তাদেরও স্বজন ভাবি
রাজমিস্ত্রী ও কামার কুমোর যত
যেখানে যে আছে মুচি ও মেথর ভাই
যে শব পোড়ায় তাকেও স্বজন ভাবি।
স্বজন বন্ধু দেশে ও বিদেশে থাকে
স্বজন সবাই আত্মার আত্মীয়
উদার হৃদয় আজও যারা দুনিয়ায়
স্বজন তাদের সবাই দুনিয়াময়।।

Loading

Leave A Comment