আবছায়া অবয়ব..
-অমল দাস
শৌচালয়ের দেয়াল জুড়ে কতগুলি অস্পষ্ট দৈহিক কাঠামো-
ঘিরে ধরে আমার নগ্নতার নিসর্গ।
রোজ তারা দাঁড়িয়ে থাকে নিস্পলক নির্বাকে
– আছে স্বৈরাচারী রাত্রির বিগত শতক ধরে।
সময়, পেন্ডুলামে ফাঁস লাগিয়ে গোঙানি দেয়
টিকটিক না ফিকফিক, জানে আর্যাবর্তের আর্য।
আমার ‘আ-এ আলস্য ত্যাগ করো’র অর্জিত সব জ্ঞানের পোকা-
যৌগ জলে ভেসে চলে- নোনতা সাগরে।
দেয়াল ছাপে দাঁড়িয়ে আছে যারা –
জানতে ইচ্ছা করে -এরা কারা?
এই চক্করে কি সবাই পড়েছে? না একলা আমি!
বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-পুরুষ, ভূত-প্রেত, সাধু-সাধ্বী, দস্যু -কত রূপ!
তুমিও আছো এই আবছায়া চিত্রলেখার অলীক গৃহের দ্বারে?
তোমায় পাইনা কেন তবে!
কোন চরিত্রে তুমি আছো -আমার জন্ম রূপের সামনে।
কোনো ডাকপিওনের হাতে আছো মুখবন্ধ খামে?
সিমেন্টের এই আস্তরণের পিছে-
কোন মুলুকের মানচিত্রে তুমি?
আছো? না কচুরিপানার ঝিলে আমার বোধের বুদবুদের আতস ফাটে…
হয়তো হিম শীতল পৌষে সূর্যের মতো তামাসা দ্যাখো-
মেঘের আঁচলে ঢেকে -স্তনে মুখ দিয়ে।
প্রশ্ন মনে আমার…
না কি পাল্টা প্রশ্নে দাঁড়িয়ে আছে ওরা!
যা শুনতে পাইনি আজও -ঝিমিয়ে পড়ছি বধিরতার গ্রামে!