প্রতীক্ষা
-শচীদুলাল পাল
বিহারের মোকামায় নাজারেথ হাসপাতালের আই সি ইউ কেবিনে এক বৃদ্ধা অপারেশনের পর অচৈতন্য। অক্সিজেন সরবরাহ ও সমস্ত মনিটরিং ইকুপমেন্ট চালু। রোগিণীর পাশে বসে নিরীক্ষণরতা এক তরুণী লেডি ডাক্তার,ডাঃ নিবেদিতা। এশিয়ার সেরা সার্জেনদের মধ্যে একজন ডাঃ নিবেদিতা।
ইসিজি মনিটারের গ্রাফের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন মানুষের জীবনের সাথে রেখাগুলির কি অপূর্ব মিল। জীবনটাও ইসিজি গ্রাফের মতো প্রতি পল বিপল ওঠা নামা করছে। যেদিন যে মুহূর্তে
ওঠা নামা গ্রাফটি সরলরেখায় পরিনত হবে সেদিনই জীবনের সময় শেষ অর্থাৎ মৃত্যু।
সে আজ তিন দিন যাবৎ দিনরাত প্রায় বিনিদ্র। টুলে বসে তন্দ্রাচ্ছন্ন। পাশের টুলে নার্স।বাইরে আয়া।ভাবছে সবার মতো তারোও জীবনটা অনেক উত্থান পতনে ভরা। বেশি করে মনে পড়ছে তার হারিয়ে যাওয়া মায়ের কথা। সে ভাবতে ভাবতে গভীর অতলে চলে গেছে। ✨✨✨✨✨✨✨✨
আমি তখন খুব ছোট। জ্ঞান হওয়া থেকে দেখতাম একটা দরমার বেড়া দেওয়া ঘরে আমার সারা দিনরাত কাটতো। মা বাসন মেজে, অন্যের বাড়ি কাজ করে ফিরে আসতে আসতে রাত হয়ে যেতো। যা নিয়ে আসত তাই খেতাম।অনুভব করতাম ক্ষিদের যে কি জ্বালা! মা মুখে খাবার পুরে দিলে কি যে আনন্দ হতো। সেই সময়গুলোর কথা মনে পড়ে। পরে মা এক মিশনারী স্কুলে চাকরি পেয়ে গেলো। অফিস ঘর ঝাড়ু দেওয়া থেকে বেয়ারার সব কাজ করত।অফিসের পাশে এক ঘরে আমরা থাকতাম। এভাবে আমি ধীরে ধীরে বড়ো হলাম। আমিও স্কুল ইউনিফর্ম পরে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সাথে স্কুল যেতাম। মাকে জিজ্ঞেস করতাম সবার তো বাবা আছে। আমার বাবা কই?
মা শুধু কাঁদতো। চোখ দিয়ে জল পড়তো। কিছু বলতোনা। এড়িয়ে যেত।মা কষ্ট পাবে বলে আমিও কিছু জিজ্ঞেস করতাম না।
একদিন মাকে বললাম
— তুমি প্রতিদিন এড়িয়ে যাচ্ছো কেন? আজ তোমাকে বলতেই হবে। স্কুলে বন্ধু বান্ধবরা বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে কিছুই উত্তর দিতে পারিনা। অনেকে বলে আমি নাকি জারজ। আচ্ছা মা, জারজ কাকে বলে?
আমি কি জারজ?
মা সপাটে এক গালে চড় কসিয়ে দিয়ে হু হু করে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে লাগলো। বলল–
নারে না। তুই জারজ নোস। তোর বাবা আছে।ভেবেছিলাম আমার বিগত দিনের কথা আমার অসময়ের কথা তোকে বলবনা। কিন্তু আজ ভাবলাম তোকে সব জানাতে হবে। আমি মরে গেলে পিতৃ পরিচয়হীনা হয়েই জীবন কাটাতে হবে।
— হ্যাঁ মা বলো। তোমার বিগত দিনের কথা আমি জানতে চাই।
মা বলতে লাগলো ——
—- —- আমার বিয়ে হয়েছিল এক গ্রামে।এক শিক্ষিত ধনী পরিবারে এক উচ্চ আয়ের ছেলে রুদ্রর সাথে। অনেক বড়ো পরিবার। ছেলেটি মায়ের কথায় উঠবোস করতো। বেশ ভালোই কাটছিল। একদিন আমি প্রেগন্যান্ট হলাম।ছেলেটি কাজ শেষে ঘরে ফিরতে রাত হতো। তাই সারাদিন শাশুড়ির তত্ত্বাবধানে থাকতাম। তিনি যা বলতেন আমি সব শুনতাম। একদিন শাশুড়ীর সাথে শহরে এক ডাক্তারকে দেখানোর জন্য গেলাম। শাশুড়ী আমাকে নিয়ে গেলো এক অবৈধ আল্ট্রাসোনোগ্রাফি সেন্টারে। আমি শাশুড়ীর সাথে ফিরে এলাম। দিন কয়েক পর শাশুড়ী একদিন বললো —
তুমি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছো।
আমি চাইনা কন্যা সন্তান। চলো এখুনি। তোমাকে এবরসন করাতে হবে।
আমি প্রতিবাদ করলাম। শাশুড়ী তীব্র নির্যাতন করতে লাগলো।
তোমাকে গর্ভপাত করাতেই হবে।
আমি বললাম ” আমি গর্ভপাত করাবো না। কন্যা সন্তান কি সন্তান নয়?আপনিও তো কন্যা সন্তান হয়েই পৃথিবীতে এসেছেন।
—– কিন্তু আমিতো পুত্র সন্তানের মা।
— তা হলেই বা। কন্যারা না থাকলে এই জগৎ সংসার চলবে কি করে? সৃষ্টির এই প্রবাহ শেষ হয়ে যাবে।
পুত্র হোক বা কন্যা। তার জন্ম তো নারীর গর্ভে।
— তুমি মুখে মুখে তর্ক করবেনা।
চুলের মুঠি ধরে আমাকে মারতে লাগলো। এখুনি চলো
–আমি যাবো না। আমি আমার সন্তান নষ্ট করব না।
— ঠিক আছে। ছেলে আসুক। তোমার অনেক বাড় বেড়েছে।
কথায় কথায় প্রতিবাদ।
— আপনি জানেন কি ভ্রূণ পরীক্ষা দণ্ডনীয় অপরাধ। ৫ থেকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।
রাতে ছেলে রুদ্র এলো। মা ইনিয়ে বিনিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মিথ্যা অভিযোগ জানালো। বলল আমি নাকি শাশুড়ীকে মারতে গিয়েছি।
রুদ্র আরও রেগে রুদ্রমূর্তি ধারন করল।
—- মা যা বলছে তা তুমি মেনে নাও। মা ঠিকই বলছে।তুমি এবরসন করিয়ে নাও। আমিও চাইনা এ বাড়িতে কন্যা সন্তান। মা আমারই পরিকল্পনা মাফিক চলছে।
এভাবে দিনকয়েক চললো।
এবার রুদ্র আর শাশুড়ী আমার উপর অত্যাচারের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল। খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিল। ভাতের থালা কেড়ে নিত।মারতে মারতে খাট থেকে ফেলে দিত।প্রচন্ড শীতে বাড়ির উঠানে রাত কাটাতে বাধ্য করত।আমার ঠাঁই হলো গোয়াল ঘরে। একরাতে মা ও ছেলের কথাবার্তা কানে এলো।” বিষ খাইয়ে পেটের বাচ্চা সমেত মেরে দাও।”
তারা মধ্য রাত্রিতে গোয়াল ঘরে এসে আমাকে জোর করে খাওয়াতে এলো। আমি খাবার খেতে রাজি হলাম না। তখন তারা আমার গলা টিপে মারতে এলো। আমি বললাম
— আমাকে মারবেন না। আমি বাঁচতে চাই।আমি রাজি।
তখন তারা আমাকে সযত্নে ঘরে নিয়ে গেলো।
আমি বললাম
— আমি কালই যাব।কোথায় ইউ এস জি রিপোর্ট। আমি একটু দেখি।
তারা ইউ এস জি রিপোর্টটি আমার হাতে দিয়ে দিল। আমি এবরসন করাবো জেনে খুব যত্ন করলো।
রাত তখন তিনটে। বাড়ির সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। আমি এক বস্ত্রে ইউ এস জি রিপোর্টটি সযত্নে হাতে নিয়ে ঘর থেকে বেরোলাম।
শীতের নিশুতি রাত। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা। কুয়াশায় সামনের কিছুই দেখা যায়না।
জনমানব হীন রাস্তা। বাবা মা অনেক দিন আগেই প্রয়াত।কোথায় যাব? এক অজানার উদ্যেশ্যে পাড়ি দিলাম। এই সঙ্কটকালে কেঁদে কেঁদে শুধু ঈশ্বরকে ডাকলাম। শীতে, ক্ষিদে তেষ্টায়, পথশ্রমে, অবসন্ন শরীরে রাস্তার ধারে এক গাছতলায় আশ্রয় নিলাম। দেখি একটা কুকুর শীতে জুবুথুবু হয়ে ঘুমাচ্ছে। তার পাশেই শুয়ে পড়তেই জ্ঞান হারালাম।
যখন জ্ঞান ফিরল তখন অনুভব করলাম আমি এক হাসপাতালের বিছানায়। সামনেই এক নার্স।ধড়ফড় করে উঠে বসার চেষ্টা করতেই নার্স এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল
— উঠবেন না। আপনি মিশনারী হস্পিটালে আছেন। আজ সকালে মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে ফাদার আপনাকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তা নিয়ে গাছতলা থেকে উদ্ধার করে এখানে ভর্তি করেছেন।
— সিস্টার।আমি মা হতে চলেছি। আমার গর্ভস্থ সন্তান ঠিক আছে তো,?
—– ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আপনি ঠিক আছেন। এখুনি ডক্টর ও ফাদার এসে যাবেন।
———- ফাদার ও ডক্টর আসতেই আমি কান্নায় ভেঙে পড়লাম। পরিচয় গোপন করে বললাম
—- আমি আমার সন্তানকে বাঁচাতে চাই। আমার কেউ নেই। আপনি আমার ফাদার মানে পিতা।
ফাদার ও ডক্টর রুটিন চেক আপ করে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।
কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের সুপারকে সাথে নিয়ে ফাদার এলেন। সুপার বললেন
—ফাদার সব বন্দোবস্ত করেছেন। বাচ্চার জন্ম ও সম্পুর্ন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত আপনি এখানে থাকবেন।
অবশেষে এলো সেই আকাঙ্ক্ষিত সময়।
নিদিষ্ট দিনে সুস্থ সবল এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিলাম আর সেই সন্তানই হলি তুই। আমার নয়নের মনি। আমার নিবেদিতা।তোকে ঘিরেই আমার স্বপ্ন। বেঁচে থাকার অবলম্বন।
—– তারপর বাবা আর যোগাযোগ করেনি? তুমি আর যাওনি?
বাবা তোমার কাছে আসেনি? আমাকে দেখতে আসেনি?
— হ্যাঁ এসেছিল। তবে তোকে দেখতে আসেনি।তুই তখন ক্লাস ফাইভের ছাত্রী । অনেক খুঁজে ফাদারের অফিসে এসেছে। ফাদার আমাকে ডেকে পাঠালো।
আমি গিয়ে দেখি রুদ্র মানে তোর বাবা বসে আছে। আমাকে বললো
— গতকাল আমেরিকা থেকে ফিরেছি। এক জরুরি কাজে তোমার কাছে ছুটে এসেছি।
— বলো আমাকে কি করতে হবে?
— আমেরিকায় নাগরিকত্ব নিয়ে থাকলে তবেই পাশপোর্ট ভিসা এক্সটেনশন করা যায়। তাই সেখানকার নাগরিক কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে হবে।তাহলে শীঘ্র নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে। আর সেটা সম্ভব হবে যদি তুমি যদি এই ডিভোর্স পেপারে সই করে দাও।
— ও আচ্ছা। দাও কোথায় সই
করতে হবে।
আমি আর একটি কথাও না বাড়িয়ে সই করে দিলাম।
সেই সময়ে ছিন্ন হয়ে গেলো তোর বাবা রুদ্রর সাথে আমার বিবাহ বন্ধন।
মায়ের জীবনের দূর্বিষহ সময় গুলির কথা ভেবে মনে মনে ভাবলাম আমাকে স্বনির্ভর হবে।
আমি পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলাম। টীচাররা খুব আদর করত। CBSC বোর্ড এক্সামে ৯৯% নম্বর পেয়ে যেদিন বাড়ি গেলাম সেদিন মায়ের কি আনন্দ! আমাকে ঘিরে মায়ের নাচ। সে খুশির দৃশ্য আজও মনে আছে। এভাবে আমি টুয়েলভ লেবেল এক্সামে স্কুল টপার হলাম। কি করব ভাবছি ডাক্তারি এডমিশন টেস্টে এপিয়ার হলাম, সেইসময় আমার মাথায় বাজ পড়লো।
মহাকাল ছিনিয়ে নিল আমার প্রিয়তমাকে।
একদিন মিশনারীর অব চ্যারিটির দিল্লির অফিস থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে মা ফিরছিলেন এক্সপ্রেস ট্রেনে। ট্রেনে আকস্মিক ভাবে আগুন লেগে যায়। বহু যাত্রী অগ্নি দগ্ধ হয়ে,শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আঘাতে জর্জরিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিল। মৃত্যু মিছিল। লাশের পাহাড়।
লাসের স্তুপ থেকে মায়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
বার্নিং ট্রেনে মায়ের সাথী ছিল এক নান ( সন্ন্যাসিনী)। তার বয়ান অনুযায়ী
—- তোমার মা ও আমি একসাথে ছিলাম। বিপদের সময় তোমার মা আমাকে সাহস
দিচ্ছিলেন। চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। একসময় আমি জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান যখন ফিরল দেখলাম তোমার মা নেই। আমার বিশ্বাস তিনি মরেননি বেঁচে আছেন।
খুব জ্ঞানী ছিল তোমার মা।একসাথে দুজনে স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য আসছিলাম। পথিমধ্যে ট্র্যাফিক জাম। নিদিষ্ট সময়ে ট্রেন ছেড়ে দেবে। তাই বাস থেকে নেমে হাঁটা লাগালাম। প্রায় ছুটতে লাগলাম দুজনেই।সেসময় তোমার মা বলছিলেন
— সময়ের চাকা কখনো থেমে থাকে না। পৃথিবীর সমস্ত শক্তি এক করে দিলেও ঘড়ির কাঁটাটাকে বন্ধ করা যায় না। পিছন দিকে টানা যায়না। সেজন্য প্রতিটি সেকেন্ড প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি পল বিপল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক মুহূর্ত চলে গেলে আর তা ফেরে না। সুতরাং দৌড় লাগাও যতক্ষণ না গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছো।
———- আমি মিশনারী স্কুলের নিয়মমতো আবাসিক হোস্টেলে থাকা খাওয়ার সুযোগ পেলাম।
এক শুভ দিনে এক শুভ সংবাদ পেলাম।
লন্ডনে ডাক্তারী পড়ার জন্য আমি এলিজিবল। মিশন আমার সব দায়ভার বহন করলো।
আজ বছর তিনেক হলো এক্কেবারে FRCP.(london) পাশ করে সার্জেন হয়ে দেশে ফিরে এসে এই মিশনারী হাসপাতালে জয়েন করেছি। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করেছি।এসব ভাবতে ভাবতে কোথায় হারিয়ে গেছিলো।
✨✨✨✨✨✨
ICU কেবিনে
নার্সের ডাকে নিবেদিতার তন্দ্রাচ্ছন্নতা কেটে গেলো।
— ম্যাডাম। পেশেন্টের জ্ঞান ফিরছে।
— হ্যাঁ।অনেক ক্রিটিক্যাল অপারেশন। এই অপারেশনে সাধারণত ২℅ পেশেণ্ট বাঁচে। অপারেশন সাকসেসফুল।
আমি নিজে হাতে অপারেশন করেছি। আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় মুহুর্ত।
✨✨✨✨✨✨✨✨✨
দুদিন পর। পেশেন্টকে আই সি ইউ থেকে জেনারেল কেবিনে দেওয়া হয়েছে। পেশেন্ট বিছানায় বসে নার্সের হাত থেকে পথ্য গ্রহণ করছে। সার্জেন ডাক্তার নিবেদিতা এসে কেবিনে গিয়ে বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন
—- আপনি কেমন আছেন?
— আমি তো মরেই গিয়েছিলাম। সব হাসপাতাল জবাব দিয়ে দিয়েছিল। তুমি আমায় বাঁচিয়েছো।
অনেক ক্রিটিক্যাল অপারেশন।
শুনেছি এশিয়ার সেরা সার্জেনদের মধ্যে তুমি একজন।
তুমি মানবী নও মা।
তু মি ভ গ বা ন।
— আমি ভগবান নই ঠাম্মি।
আমি আপনার সেই পুত্রবধূর কন্যা ভ্রূণ। গর্ভে কন্যা সন্তান আছে বলে এবরসন করতে বলেছিলেন। মা রাজি না হবার জন্য মায়ের উপর অকথ্য নির্যাতন করেছিলেন। পুত্রবধূ ও তার গর্ভস্থ কন্যা সন্তানকে একসাথে হত্যা করতে গেছিলেন। অত্যাচারিত নিপিড়ীত বহিস্কৃত
মায়ের কন্যা ভ্রূণ জীবন্ত আজ আমি আপনার সামনে। আমি ডাঃ নিবেদিতা, সার্জেন —–
আপনার
না ত নি।
আমি ভগবান নই ঠাম্মি—
আমি আপনারই
না-ত-নি।