ভোকাট্টা
-অমল দাস
প্রকৃতির অনুশোচনার ল্যাবে-
ভাবনা ও বাস্তব নির্দিষ্ট স্ফুটনাঙ্কে মিশ্রণ করলে
একটি যৌগ রাসায়নিক উৎপাদিত হয়,
-যা কিনা সূত্রের সমাধান।
সমাধানের উৎপাত বড়ো বেআব্রু
-জীবনের নোঙর গাথা নাব্যতাহীন জলে।
জীবনকে যৌবন দিয়ে ভাগ করে
যে অবশেষ থাকে অমীমাংসিত পাতায়,
তা অনুযোগের দানা পাকায় পিচ গলা রৌদ্রে!
এই বেনামী ধাতুর দানা বুলেটপ্রুফ ভেদ করে-
হৃদপিণ্ডের পাঁজর ভাঙে।
-নির্বিশেষে ভাঙা পাঁজরে গা-সওয়া মনোভাবে আমি-আমরা
কুয়াশা ভোরে সন্তর্পণে রেলগাড়ীতে উঠে পড়ি
গুদাম ঘরে মজুত মালের মতো।
জীবনের এক্কা-দোক্কা খেলায় মৃত শহরে মূল্য খুঁজতে গিয়ে
পলাশের লালে সিগন্যালের ভ্রম দেখে
-নেমে পড়ি ভোকাট্টার দেশে।