গল্প- রাক্ষুসী মাসি

রাক্ষুসী মাসি
-লোপামুদ্রা ব্যানার্জী

 

 

-বলি ও ছোট বৌমা তুমি কোন আক্কেলে ঠিক করলে যে আমার সোহম দাদুভাই তোমার বড়দিদির কাছে থেকে মানুষ হবে? মানছি আমার ছোট ছেলেটার রোজগার একটু কম। তাই বলে নিজের পেটের সন্তানকে তুমি অন্যের ঘরে রাখতে চাও! বলি তুমি কেমন ধারার মা গো?
শর্মিলা অনেক ক্ষণ ধরে সহ্য করে চলেছে তার সত্তরোর্ধ্ব শাশুড়ি বিমলা দেবীর গঞ্জনা। এবার আর চুপ থাকতে না পেরে সে বিরক্ত হয়ে বলে, আপনাদের এই রাবণের গুষ্টিতে ছেলে মানুষ করা খুব মুশকিল। সারাদিন শুধু হৈ চৈ। লেখাপড়ার কোনো নাম গন্ধ নেই। যার মন চাইছে সে পড়ছে আবার যার মন চাইছে না সে পড়ছে না। তার ওপর আপনার নাতিদেরকে তো কেউ কিচ্ছুটি বলতে পারবে না। কিছু বলতে গেলেই আপনি রে রে করে তেড়ে আসবেন।
তাই আমি আপনার ছেলের সঙ্গে পরামর্শ করেই ঠিক করেছি সোহম আমার বড় দিদির কাছে থেকেই লেখাপড়াটা করবে।
বিমলা দেবী খানিক নিজের কপাল চাপড়ে বলে, বলি ও ছোট বৌমা, তুমি তো একটু আধটু লেখাপড়া জানো। ও দিয়ে কি এইটুকু ছেলেটাকে মানুষ করা যায় না। পাঁচ বছরের ছেলেকে এখন থেকে নিজের কোল ছাড়া করলে তার কি আর তোমার প্রতি টান থাকবে?
শর্মিলা ঠোঁটের কোণে সামান্য একটু হাসি এনে বলে, সোহম আমার নাড়ী ছেঁড়া ধন।এই নাড়ীর টান ছিন্ন করা যায় কি কখনও?
তাই বলছি এবার অন্তত দয়া করে আপনি বিলাপটা বন্ধ করুন। বড়দি, জামাই বাবু দোতলার ঘরে আছে। কখন ওদের কানে পড়ে যায় এইসব কথা কে বলতে পারে।
ঠিক তাই। শর্মিলার বড় দিদি মনিমালা দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসছিল।আর তখনই বিমলা দেবীর কথাগুলো শুনতে পেয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল সিঁড়িতে।
মনে মনে সে ও নিজেকে প্রশ্ন করছিল, কাজটা কি আমি ঠিক করছি? আমি নিঃসন্তান বলেই তো সোহমকে নিজের কাছে রেখে লেখাপড়াটা শেখাতে চাইছি। শুধু যে সোহমের ভবিষ্যতের কথা ভাবছি তা নয়। আমার মনের কোণে লুকানো রয়েছে যে সন্তান সুখের চাহিদা সেটাও তো আমি চরিতার্থ করতে চাইছি। তাহলে কি আমি অন্যায় করছি? আমার বুকের অতৃপ্ত মাতৃত্বের ধারাকে তৃপ্ত করতে গিয়ে আমি আমার নিজের ছোট বোনকে বঞ্চিত করছি না তো?
এমন সময় দোতলার বারান্দায় কারোর পায়ের শব্দ শুনতে পেয়ে মনিমালা আর সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে না থেকে পুনরায় ওপরে উঠে আসে।
শর্মিলার খাটে শুয়ে শুয়ে গল্প করছে মনিমালার স্বামী অখিলেশ আর শর্মিলা স্বামী বিদ্যুৎ। দুই ভায়রা ভাই আলোচনা করছে সোহমের স্কুলের ভর্তির বিষয় নিয়ে।
বিদ্যুতের কথায় বারবার উঠে আসছে তাদের বাড়ির পরিবেশ আর গ্রামের পরিবেশের কথা। বিদ্যুতের কথাবার্তার মধ্যে শর্মিলার ভাবনা চিন্তার প্রতিচ্ছায়াও দেখতে পেয়েছিল সেদিন মনিমালা।
নিজের মনকে তখন সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, আমি তো আর জোর করে সোহমকে নিয়ে যেতে আসিনি। ওর মা বাবার অনুরোধে এসেছি। তাছাড়া দুটো ছেলে নিয়ে শর্মিলা তো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বড়টা আমার কাছে থেকে মানুষ হলে ওরও একটু সুরাহা হবে।
বিদ্যুৎ ঘরের দরজার দিকে মুখ ঘোরাতেই দেখে মনিমালা দাঁড়িয়ে আছে। সে বলে বড়দি আপনার বোন কই? ওকে ডাকতে তো নিচে গিয়েছিলেন। মনিমালা বলে এখন ও কাজে খুব ব্যস্ত। একটু পরে আসবে।
দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিয়েই মনিমালা শর্মিলার উদ্দেশ্যে বলে, কই রে সোহমের কয়েকটা জামাকাপড় আমার ব্যাগে দিয়ে দে আর বইখাতার জন্য একটা আলাদা ব্যাগ গুছিয়ে দে। বেলা তো প্রায় শেষের মুখে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সন্ধে নামবে তাই আর বেশি দেরি করতে চাইছি না। 5:10 এর লোকালটা পেয়ে গেলে সাড়ে ছটার মধ্যে ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছে যাব।গিয়ে সন্ধ্যাটাও দিতে পারব।
শর্মিলা সেইমতো সোহমের বইয়ের ব্যাগটা গুছিয়ে দিল। আর কয়েকটা জামা কাপড় ওর বড়দির ব্যাগে ভরে দিল। সোহমকে জামা প্যান্ট পরিয়ে কাছে টেনে নিয়ে শর্মিলা বলে, একদম শান্ত হয়ে থাকবে কিন্তু বড় মাসীমণির কাছে। মাসীমণি, মেসোমশাই যা বলবে তাই শুনবে, কেমন। এই কথাগুলো বলতে বলতে যদিও শর্মিলার গলাটা কেঁপে উঠেছিল। তবুও তৎক্ষনাৎ নিজেকে সংযত করে বলে, চল ঠাকুমাকে প্রণাম করবি চল। বাড়ির বড়দের সবাইকে প্রণাম করে তারপর রওনা দিবি।
বিদ্যুৎ ইতিমধ্যে একটা রিক্সা ডেকে এনেছে। সবার সাথে সৌজন্য বিনিময় করে মনিমালা সোহমকে নিয়ে রিক্সায় উঠেছিল।
তারপর দেখতে দেখতে ছোট্ট সোহম প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে হাইস্কুলে উঠে পড়েছে। পড়াশোনাতে ভীষণ মনোযোগী সে। প্রতিবছর ক্লাসে প্রথম হয় আর স্বভাবের দিক থেকেও ভীষণ ধীর স্থির।
প্রায় প্রতি মাসেই সোহমের মা বাবা ভাই আসে ওর সঙ্গে দেখা করতে। তবে সোহমের যে ওদের জন্য খুব একটা মন খারাপ করে তা সে কোনদিন বলেনি তার মাসীমণিকে।
সোহমের কখনো সামান্যতম শরীর খারাপ হলেই অখিলেশ বাবু আগে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে এসে তারপর শালি ও শালিপতি ভাইকে খবর দিতেন। আর তখন বিদ্যুৎ এসে এমন হাবভাব করত যা দেখে মনিমালার মনে হতো তারা যেন বড্ড বেশি অনাদরে রেখেছে সোহমকে। এই কথাটাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাইছে সোহমের বাবা বিদ্যুৎ।
সেবার মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে সোহমের ভাইরাল ফিভার হয়। সেই খবর পাওয়া মাত্রই শর্মিলাকে নিয়ে বিদ্যুৎ ছুটে আসে। সে অখিলেশ বাবুর উদ্দেশ্যে রীতিমতো রাগান্বিত হয়ে বলে, সোহমের দায়িত্ব যখন ঠিকমতো নিতে পারছেন না তখন ওকে আমি এখানে রাখবো না। আজকেই আমি ওকে চিত্তরঞ্জন নিয়ে যাব।
শর্মিলা তখন শশব্যস্ত হয়ে অখিলেশ বাবুর হাত দুটো ধরে বলেছিলো, জামাইবাবু ওর কথায় রাগ করবেন না। জানেন তো একটুতেই মাথা গরম করা ওর স্বভাব।
সেদিন শুধু অখিলেশ বাবু মনিমালার কথা ভেবে চুপ করে ছিলেন। এই কয়েকটা বছরে মনিমালা যে মনেপ্রাণে সোহমের যশোদা মা হয়ে উঠেছে। তা বেশ বুঝতে পারে অখিলেশ বাবু। রোজ সকালে উঠেই মনিমালা সবার আগে ভাবতে বসে সোহমকে কি খেতে দেবে আজ। সোহমের পছন্দটা সবার আগে। আর সোহমও মাসীমণি ছাড়া চোখ যেন অন্ধকার দেখে।
মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক দুটো পরীক্ষাতেই দুর্দান্ত রেজাল্ট করে, জয়েন এন্ট্রান্স ভালো ফলাফল করে, কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে এখন আসানসোলের হেলথ সেন্টারে যোগদান করেছে সোহম।
এবার তাই সোহমের বাবা তার ডাক্তার ছেলের জন্য পাত্রী দেখতে শুরু করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ বাবুর এখন চালচলন পাল্টে গেছে। বন্ধুবান্ধবদের মহলে তার খাতির বেড়ে গেছে। যতই হোক ডাক্তার ছেলের বাবা বলে কথা।
দুর্গাপুরের বি জনের একটি মেয়েকে বেশ পছন্দ হয় বিদ্যুৎ বাবুর। মোটা টাকার পণও দিতে চাইছে মেয়ের বাবা। আর সেই খবরটা দিতে এই দিন কয়েক আগে বিদ্যুৎ এসেছিল তার বড় শালিকা মনিমালার বাড়ি।
কিন্তু সেখানে এসে সে যা শুনলো তাতে রীতিমতো অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠে। রীতিমতো আস্ফালন করে মনিমালার উদ্দেশ্যে বলে, সোহমের লেখাপড়া দায়িত্ব আপনাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। ওর বিয়ের দায়িত্ব নয়। কোন সাহসে, কোন অধিকারের জোরে সোহমের মা-বাবা বেঁচে থাকতে সোহমের বিয়ের সিদ্ধান্ত আপনারা নিচ্ছেন?
বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ বাবুর ঔদ্ধত্য সহ্য করতে করতে সেদিন অসহ্য হয়ে মনিমালা বলে, সোহম আমার ঔরসজাত নয় ঠিকই। ও আমার মানসজাত সন্তান। আমার মনের মত করে ওকে আমি বড় করেছি। আজ ও ডাক্তার হয়েছে আর সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হয়েছে।
বিদ্যুৎ বাবু অসভ্যের মত দাঁত বের করে হো হো করে হেসে উঠলো এই কথা শুনে। তারপর হাততালি দিয়ে বলে আপনি কি আজকাল নাটক নভেল লিখছেন নাকি বড়দি। ভালো বললেন তো। সোহম আপনার মানসজাত সন্তান।
তারপর ক্রুর হাসি দিয়ে বলল, তা এত বছরেও সোহম কোনদিন কি আপনাকে মা বলে ডেকেছে বড়দি?
বিদ্যুৎ বাবু ভেবেছিল সে একেবারে মোক্ষম জায়গায় আঘাত করেছে মনিমালার।
কিন্তু মনিমালা খুব শান্ত গলায় সেদিন বলেছিল, কাউকে মা বলে ডাকলেই কি তার সন্তান হওয়া যায়? শর্মিলা তো তোমাদের বাড়িতে বউ হয়ে আসার পর থেকেই তোমার মাকে মা বলে সম্বোধন করে। কিন্তু সে কোনোদিন আমাদের মায়ের জায়গায় তার শাশুড়িকে বসাতে পারেনি। এই যে তুমি তোমার শ্বশুর-শাশুড়িকে মা বাবা বলে সম্বোধন করো। কিন্তু কোনদিন ভেবেছো, কোনদিন চেষ্টা করেছো তাদের ছেলে হয়ে ওঠার।
কিন্তু সোহম আমাকে মাসীমণি বলে ডাকলেও ওর অন্তরে আমার প্রতি যে শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভালোবাসা আমি দেখেছি তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে ও আমাকে মায়ের আসনই বসিয়ে রেখেছে।
আমার সামান্য শরীর খারাপ হলেই সেই ছোট্ট থেকে আমি ওকে দেখেছি অস্থির হয়ে উঠতে আর এখন তো তোমরাও দেখতে পাচ্ছো ছুটি পেলেও চিত্তরঞ্জন যায় না আমাদের দুর্গাপুরে চলে আসে।
শর্মিলা নিজে আমায় বহুবার বলেছে দিদি সোহম আমাকে মা বলে ডাকে ঠিকই কিন্তু মা হিসাবে মান্য কিন্তু তোকেই করে ও।
আমি বরঞ্চ বলেছি তা আবার হয় নাকি।নাড়িছেঁড়া ধন তোর। নাড়ির টান সে যে আলাদা জিনিস। আমি তো এ জন্মে সেই টান কেমন হয় তা বুঝতে পারলাম না।
মনিমালার শান্ত গলাটা কখন যে কান্নায় চাপা পড়ে গিয়েছিল সে নিজেও বুঝতে পারেনি। একতলার স্টাডি রুম থেকে দোতলায় উঠে এসেছে সোহম। আজ তার রবিবারের ছুটি।
মনিমালাকে কাঁদতে দেখে সে রীতিমতো অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। বিদ্যুৎ বাবুকে উদ্দেশ্য করে বলে, বাবা তুমি কি এই বাড়িতে আসো মাসীমণিকে শুধু কাঁদাবে বলে? ছোট্ট থেকে দেখে আসছি তোমার উল্টোপাল্টা কথার জন্য মাসিমনি কষ্ট পায়।
ছেলের মুখে এমন ধারা কথা শুনে বিদ্যুৎ বাবু আরো রেগে ওঠে। তারপর বিদ্রুপের হাসি হেসে বলে, বাঃ বাঃ। দারুন ট্রেনিং পেয়েছিস তো তুই তোর মাসির কাছ থেকে। জানিস তো বাংলায় একটা কথা আছে মায়ের থেকে যে মাসীর দরদ বেশি তাকে নাকি বলে রাক্ষুসী মাসি।
এই কথাটা শোনা মাত্রই সোহম প্রচন্ড রকম উত্তেজিত হয়ে বলে এরপর আর একটা নোংরা কথা বললে আমি ভুলে যাব তুমি আমার বাবা। তাই বলছি আমাকে আর রাগিও না কিন্তু।
একটা কথা যে বিয়ে নিয়ে তুমি অশান্তি করছো মাসিমনির সঙ্গে। সেটা জেনে রাখো আমার সিদ্ধান্ত। তিতলিকে ভালোবাসি আমি বহুদিন থেকে আর আমি ওকে বিয়ে করবো।
আর একটা কথা এবার থেকে মাসিমনির বাড়িতে যখন আসবে তখন ভদ্র ব্যবহার সঙ্গে করে আনবে। মনে রাখবে আজ আমি যা কিছু তা সম্পূর্ণ অবদান মাসীমণি আর মেসোমশাই এর।
বিদ্যুৎ বেশ বুঝতে পারছে তার শান্ত শিক্ষিত ছেলে বেশ অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে। তাই সে তৎক্ষণাৎ গলার সুরটা বদলে ফেলে বলে, তোর মা তোকে নয় মাস পেটে ধরে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। তার কথাও তুই ভুলে গেলি!
রীতিমতো হাত তুলে সোহম বলে থাক থাক বাবা মায়ের কথা অন্তত তুমি বলতে এসো না। সে আমাকে পেটে ধরেছে বলেই তোমাদের পরিবার থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে রেখে মানুষ করতে চেয়েছিল। এই যে ভাইকে নিজের কাছে রেখে রীতিমত গুন্ডা তৈরী করেছ। এই বয়স থেকে তোলাবাজি করতে শিখে গেছে।
বুঝলে বাবা মা বুঝতে পেরেছিল তোমার দৌড় কতটা। তুমি যে শুধু ফাঁকা আস্ফালন করতে পারো সেটা মা বেশ টের পেয়েছিল। যৌথ পরিবারে থেকে তুমি শুধু গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেরিয়েছো।
মনিমালা দেখছে পরিস্থিতি ভীষণ রকম অপ্রীতিকর হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। তাই সে বাধ্য হয়েই বলে, সোহম চুপ কর।
ব্যাস এই তিনটি শব্দে একেবারে চুপ হয়ে গেল ডাক্তার সোহম সেন। মাসিমনির যে কোনো কথা ওর কাছে মাতৃ আজ্ঞা স্বরূপ।
একটা শব্দ খরচ না করে দ্রুতপায়ে সোহম আবার স্টাডি রুমে ফিরে গেল।
বিদ্যুৎ দেখল সোহম কতখানি শ্রদ্ধা করে তার মাসীমণিকে। সোহম তার বাবার মুখের ওপর কথা বলতে পারে কিন্তু মাসিমনির মুখের ওপর নয়। তাই বিদ্যুৎ বাবু যতই মনিমালাকে রাক্ষসী মাসি বলুক না কেন সোহম কিন্তু মনিমালাকে বসিয়ে রেখেছে তার মায়ের আসনে।

Loading

2 thoughts on “গল্প- রাক্ষুসী মাসি

Leave A Comment