মানুষ ও প্রেমিক
-কাজল দাস
তারপর!
যতবার মানুষ হতে চেয়েছি;
ততবারই প্রেমিক হয়ে উঠেছি।
শীতের শরীরে স্বপ্ন ভেঙেচুরে –
কয়েক গুচ্ছ নগ্ন শরীর বিছানা খোঁজে,
মৃত্যুর মতো প্রাসঙ্গিক প্রেম-
ঢেলে দেয় বুকের আগুনে।
যতবার মানুষ হতে চেয়েছি;
প্রেমিক হয়েছি অনায়াসে।
ফুটপাত ধরে হেঁটেছি মানুষের ভীড়ে,
পায়ে পায়ে শালীনতার গন্ধ মেখে-
পেরিয়েছি নিষিদ্ধ পল্লী,
নরম শরীরের উন্নত ভাঁজে ফেলেছি নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস,
রাতের চোখে আমি এক যাযাবর,
নীল আলোর বৃন্তে আমি নিলাম হয়ে যাই,
ঠোঁটের রঙ, গালের রঙ, নখের আঁচড়ের-
রঙিন উচ্ছ্বাসে- আমি এক যাযাবর,
দিকহীন, দিশাহীন আঙুল হাতড়ে হাতড়ে,
একটা আস্তানা খুঁজি পৃথিবীর।
মধ্যরাতের চাঁদ ঘোলাজলে ডুবলে,
কয়েক গুচ্ছ শরীর আমি স্বপ্নে দেখি,
তারা মানুষ হতে দেয়না,
অন্ধকার হলেই প্রেমিক হয়ে যাই।
নৈরাশ্যের আলো ফোটে যেই,
সেই আবার রাস্তা যায় বিছিয়ে,
গায়ে গায়ে চুরি হয় শালিনতা বোধ।
একগাল হেসে ওঠে কৃষ্ণচূড়ারা,
স্ফিত বক্ষ যুগলে ফোটে পারিজাত,
ঘর্মাক্ত ফুলের গন্ধে নামে অন্ধকার।
আবার একটা সকাল আমাকে-
মানুষ হতে বলে,
অথচ অন্ধকার কাটে না কিছুতেই।