সাক্ষী
-সুবিনয় হালদার
পতাকার ভিন্ন সমাহার দেখতে দেখতে
তার বাহারি রঙ গুনতে গুনতে-
এখন সময় দ্বিপ্রহর ,
আজো ঠিক করে বুঝে উঠতে পারলাম-না
কোনটা শুভ কোনটা অশুভ !
যখনই মনে করেছি এই রঙটি মঙ্গলের-
ঠিক তখন শনিগ্রহের ছায়া ঘিরে ধরেছে চারপাশে !
কুদৃষ্টি দিয়ে কুপ্রভাবে দুর্বিষহ করেছে জীবনের পথচলা !
রন্ধ্রে-রন্ধ্রে রাহু কেতু সঙ সেজে বসে আছে
অমৃত কলস হাতে নিয়ে ছলনাময়ী-
তৃষ্ণার্ত মনমোহিনী নিজেই সাবাড় করছে সব !
দেবকুল হতবাক নির্বিকার
অসুরকুল করছে হর্ষ-উল্লাস !
হে প্রজা-বৎসল জনার্দন-
ভীত সন্ত্রস্ত ভগ্ন মেরুদণ্ডী
আর কতদিন থাকবে বন্দী ?
ছানি চোখে মুখ বুজে-
গণ্ডারের-চামড়াকে লজ্জায় ফেলে- ;
ইংরেজি নয় আর ছয় এর ন্যায় তৃতীয় হাত হাতড়াবে !
পারিষদ পদেপদে পদলেহনে
সৃষ্টির দফারফা করে কৃষ্টিসম্পন্ন করছে ,
মগজ ধোলাই যন্ত্রে ধৌত হয়ে ফজল মিঞা কিংবা পরান বাউলেরা আউড়ে চলছে রাজা রাণী যুবরাজের গুণগান !
আম-জনতা আমের রস-সাধন তো দূরাস্ত- ;
উন্নত ঘ্রাণ শক্তি সম্পন্ন জীবেদের তালিকাভুক্ত হয়ে-
প্রাসাদের প্রসাদ ভোগী !
পরবর্তী প্রজন্মকে পঙ্গু দুর্বল ভিত্তিস্থাপন দ্বারা কুকর্মের ভাগিদারী !
কতকাল আর ভিক্ষিত বিক্রীত দাসত্ব মনে
সব জেনেশুনে
স্বাধীনতার উনুনে- পরাধীনতার উষ্ণতা খেয়ে-মেখে চলবে ?
তৃতীয় চক্ষু মেলে একবার ভাবো- দেখ-
উন্নতশির তুলে জাগ্রত করো বিবেক- আত্মা- মনুষ্যত্ব- ;
শুধু একবার– !
জীবন্ত লাশ ঘরে সজীব শবেদের ভিড়ে
আজ তোমার খুব প্রয়োজন ছিলো বাবা- ;
কেন জানিনা প্রতিমুহূর্তে তোমার এইসময় না-থাকা খুব কষ্ট দেয় !
ক্লীববেশী পরিবেশ আজ মসী মেখে উদাহরণের নির্লজ্জ তথ্যকে আত্মস্থ করে- ;
ক্ষুধাহরণের সাক্ষী !
তোমার আদর্শ নীতি
তোমার ত্যাগ তোমার উদাসীনতা,
সব যেন সাদাকালো ছবি ,
তার মাশুল গুনছি- আজ
হয়তো গুনে যাবো রোজ–
সারাটা বছর– জীবন- !
প্রভাতফেরী ঢলে পড়েছে-
এখন গোধূলি-লগ্ন ।