বই
-রাখী চক্রবর্তী
সারাদিন একা থাকো, বোকা বাক্সে চোখ রাখো
চলো, আজ না হয় উপায় একটা বের করি।
বইয়ের তাকেতে গিয়ে, বইগুলো হাতড়িয়ে
দু’একখান বই সযত্নে পড়ি।
অনেক দুর গ্রন্থাগার, যেতে গিয়ে যাওয়া হয় না আর
এই তো বলবে তড়িঘড়ি।
তবে শোন মন দিয়ে, অহরহ খুশি নিয়ে
বই পড়ে জ্বালাও জ্ঞানের ফুলঝড়ি।
ঘোরাঘুরি সব করো, পরনিন্দা বন্ধ করো
নানামুনির নানা মত শোনা কি খুব দরকারী।
লালপরী নীলপরী, চাঁদ মামা চাঁদের বুড়ি
জানো আরো কত আছে গল্পের ঝুড়ি।
না না একদিন না, এটা হোক চিরকালের ভাবনা
বইকে যেন চিরকাল ভালবেসে পড়ি।
বই পড়ি হোক না সে গল্প, বা ভ্রমণ অল্পস্বল্প
দুনিয়াটা চেনা যে খুব দরকারী।
ঘর হোক বা গ্রন্থাগার, অধিকার আছে সবার
বই পড়া হোক নেশার বয়ে চলুক টিকটিক ঘড়ি।
ধীরে ধীরে অভ্যাস, হবে যে দাসের দাস
এ বাণী যে আমার না স্বয়ং কৃষ্ণের-ই।
সকাল হোক বা রাত্রি, মোরা একই পথের যাত্রী
আজ থেকে হও বইয়ের পুজারী।।
অঁজপাড়া গাঁয়ের মেয়েবধু, দিনরাত খাঁটে শুধু
ওদের কাছে বই হল আলোর দিশারী।
ইচ্ছে থাকে তো পড়ার, কিন্তু নেই কেউ বলবার
সহে যেতে হয় লাঞ্ছনা গঞ্জনা ভারি।
অট্টালিকায় থেকে, আলস্যকে ভালবেসে
আমরা শরীরের ক্ষতি যারা করি।
এইবেলা শুরু করি, বই পড়ে মন ভরি
সুস্থ মন নিয়ে চললে উন্নতি হয় নিজের-ই।
আগোছলা জীবনে, ধার করা সুখ কিনে
জমিয়েছি শুধু একাকিত্ব ও টাকাকড়ি।
চোখ খুলে দেখ, বই পড়ে দেখ
মানুষ হয়েছে কত ছেড়ে ভেকধারী।
হৃদয়ের অন্তঃস্থলে জমা, কতো পুণ্য, দয়া, ক্ষমা
কারণ বইই উৎস সকল জ্ঞানেরই।
আমি তুমি শেষ হব, চিতাতে জ্বলব
বইয়ের তাকেতে বই থেকে যাবে সারি সারি।