দুর্বিত্ত পঙ্গপাল
-সুবিনয় হালদার
কিছু দেখা কিছু কথা মনে থাকে
কিছু ছবি চিরকাল চোখে ভাসে ;
অনেকের ভীড়ে অনেককিছুই হারিয়ে যায় বিস্মৃতির গভীর আঁধারে !
স্মৃতিপথে ফিরে আসে পুরানো দিন গুলো-
কেবলই ফালাফালা-করে,
বুকফাটা জ্বালা হাহাকারে-;
কোথাও একটা শান্তির প্রলেপ টানে –
নূতনের আহ্বানে !
ভরে ওঠে দেহমন সব কষ্ট ভুলে ;
দিতে পারি আমি নিজেকে চিরে-
তুচ্ছ বিষ-যন্ত্রণা নিজেরই অন্তরে মেখে,
উৎসর্গিত কর্ম-বীজ তোমাকে সাজিয়ে ।
তুমিতো দ্বিতীয় এক-ঋতুতে
পশুর উন্মত্ত পায়ের খুরে ;
আমার বুকে দাপিয়েছিলে-
এক শিলাখণ্ডে বারবার করেছিলে কর্ষণ,
আমাকে পুরো থেঁৎলে-পিষে- দিয়েছিলে ভিজিয়ে !
আজ আমি ফুলে-ফলে গর্ভবতী হয়েছি –
তা তো তোমারই বদান্যতায় !
আজ আমি দিতে পেরেছি তৃপ্তির হাসি –
তা তো তোমারই আঘাতে !
আজ আমি ভালো অভিনেতা হয়েছি –
তা তো তোমারই অভিনয় দেখে !
তাই আমি খুব সহজেই পারি নিজেকে বদলাতে- দু-হাতে বিলিয়ে দিতে !
না; আমার কোন যন্ত্রণা নেই,
না; আমার কোন কষ্ট নেই,
না; আমার কোন আক্ষেপ নেই –
অভিমান নামক শব্দকোষ আমার অভিধানে থাকবেনা কখনোই,
থাকতে পারেনা–!
তাই তো আজ আমি পড়ে আছি- একটা পতিত জমি হয়ে
দুর্বিত্ত পঙ্গপাল আর আগাছা বেষ্টিত পরিবেশে !
যেখানে ভালোবাসা নেই শুধু ভোগের সম্পর্ক ;
স্নেহ সম্মান মমতা হারিয়ে স্থান পায় লোভ লালসা অর্থ আর স্বার্থের !
এখনো জলভরা চোখে বুকভরা আশায় পথ চেয়ে বেঁচে আছি ;
প্রতীক্ষা সুস্থতার ।।