ঠিক নদীর মত
– সমীর হালদার
এতদিন যে নদীটার গল্প শুনিয়েছি
তা কোন সাধারণ নদী ছিল না;
তার প্রজ্জ্বলিত দু’চোখে শোভা পেত ঘনীভূত
রহস্যের মায়া কাজল,
সরষে ফুলের হলুদ হাসিতে ঝরে পড়তো
শত সহস্র গোলাপের সোহাগ,
অদৃশ্য দুই হাতে আলিঙ্গনের সুস্পষ্ট ইশারা,
তার লবণাক্ত জলে জিভ ঠেকালে
মনের মধ্যে জেগে উঠতো অদ্ভুত এক রস।
বহু কাছ থেকে দেখা সে নদী
যেন রহস্যের এক মায়ানগরী,
ঠিক যেন পৃথিবীর মধ্যে লুকিয়ে থাকা
অনন্য এক পৃথিবী।
যার শরীরী ভাষায় প্রতিফলিত হত
যুদ্ধজয়ের অট্টহাসি।
বিষন্ন সন্ধ্যার মায়াবী আলোয় তার কন্ঠে
বেজে উঠতো মায়া মহলের এক বিষাদ সুর,
ঠিক তখনই আমার কলমের গা বেয়ে
নেমে আসত অজস্র কবিতার রক্তস্তবক।
সে তার পাহাড়ি ঠোঁটের উষ্ণতায়
লিখে দিয়েছিল নিষিদ্ধ এক ইস্তেহার,
যার পাঠোদ্ধার করা আজও সম্ভব হয়নি,
কেননা ফেলে আসা সে নদীর বাঁকে যাওয়া হয়নি আর।
এতদিন যে নদীটার গল্প শুনিয়েছি
তা কোন সাধারণ নদী ছিল না।
এতদিন নদীটার যে গল্প শুনিয়েছি
তা কোন সার্বজনীন প্রেমের উপাখ্যান ছিল না।