ভালো থেকো
-কাজল দাস
ধরো- আমি নেই,
ধরো- আমি আছি, এখনো আছি,
তোমার পাশে, খুব কাছাকাছি।
যতটা কাছে থেকেও বুঝতে পারনি আমায়,
যতটা পাশে থেকেও ছুঁয়ে দেখনি কখনো,
ঠিক ততটাই!
ঠিক ততটাই পাশে আছি।
সময়ের আলো ঠেলে অন্ধকার দরজায়,
বিগত দিনের মতো- আমি অপেক্ষায়,
ছায়ার মতো লেগে আছি অতীতের ঘ্রাণে,
কিংবা এলোমেলো বিছানার এক কোণে!
তবুও আছি!
কলহহীন ভাঙা সাঁকোর মত-
ভেঙে আছি বিভাজনে আপাদমস্তক।
প্রয়োজনের সম্পর্কে-
আমার পছন্দ অপছন্দ, ইচ্ছে, অনুভূতিরা-
বেজন্মার মতো-
জানালা ভাঙা আকাশের দিকে চেয়ে আছে, দু’ ফোঁটা অস্তিত্ব খুঁজে পেতে।
পাওয়া না পাওয়ার মাঝামাঝি অবস্থানে-
নামহীন গোত্র হীন সমঝোতা হয়ে,
বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম নিজের পরিচয়।
তোমার বোঝার কথা নয়-
কারণ চিৎকার করে শব্দ ছড়াইনি কখনও।
তাই সম্পর্কটা নিছক সম্পর্কই থেকে গেল।
তবুও আছি,
ছেঁড়া মাস্তুলে এক চিলতে উপহাসের মত-
রিক্ত, সিক্ত অনুরণনের বাতাস হয়ে।
ধরো, আমি আছি
ধরো, আমি নেই! কোত্থাও নেই,
দু-চোখ বেঁধে আমি খেলছি কানামাছি।
অন্ধকার চারিদিক হাতড়ে মরছি জলে,
অথবা হারিয়ে যাচ্ছি বিচ্ছিন্ন অসমতলে।
রোদ্দুর ভাঙা সন্ধ্যের শরীরে,
জোর করে কবিতা শোনাতো যে-,
অবোধ্য কবিতার আকালে
আর তাকে বলবে না কেউ –
একমুঠো রোদ্দুর কণা ফিরিয়ে দে!