কবিতা- সময় হলো সেই বিচারক

সময় হলো সেই বিচারক
-মানিক দাক্ষিত

 

 

ভাবছো তুমি ধুর্ত শিয়াল চালাক অতি,
জানবে না কেউ কীর্তি তোমার মতিগতি।
‘শিবের বাবা টেরটি পাবে কেমন করে,
ডুবে ডুবে জল যদি খাই পেটটি ভরে?’

লোভটা তোমার বেড়েছিলো আকাশ পানে,
ভালো কথা যে যাই বলুক কানে কানে,
শুনতে তোমার বয়েই গেছে পাপের মানে,
কারণ জানো, বসে আছো সিংহাসনে।

বিদ্যে বুদ্ধির ঘরটাকে তাই শূণ্য করে।
বিবেকমশাই চলে গেলেন হাহাকারে।

অর্থ, নারী, সুধার নেশায় বিভোর হয়ে,
ভাবলে তুমি সুখের স্বর্গ গেলেই পেয়ে।
টাকার পাহাড় অপ্সরীদের রূপের ভিড়ে,
মানবসত্তা হারিয়ে গেল অন্ধকারে।

পূর্ণ যখন হলো তোমার পাপের ঘড়া,
নামলো তখন তোমার শিরে সাজার খাঁড়া।

‘সময়’ করে এমনি বিচার ঠিক সময়ে,
লোভের মাত্রা সবার যখন যায় ছাড়িয়ে।

Loading

2 thoughts on “কবিতা- সময় হলো সেই বিচারক

  1. আন্তরিক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়া রীণা দিদিভাই এবং
    প্রিয় অমলবাবুকে।

Leave A Comment