মাস্টারমশাই
-মানিক দাক্ষিত
মাঝরাতে ফোনটা বাজতেই ঘুমটা ভেঙে যায়।
একরাশ বিরক্তিতে ফোনটা ধরতেই শুনতে পাই কষ্টকর কম্পিত এক বৃদ্ধের কণ্ঠস্বর।
-মাষ্টারমশাই, কি ব্যাপার এত রাতে ফোন! শরীর ভালো আছে তো?
– না বাবা, শরীরটা ভালো নাই। মনে হচ্ছে শেষ সময়। কথা কটা না বলে শান্তি পাচ্ছি না, তাই তোমায় রাতদুপুরে ফোন করলাম। বহুচর্চিত তোমার গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘বঙ্গসংস্কৃতি’ আজ ডাকে পেলাম। বইটি তুমি আমায় উৎসর্গ করেছো। মনে-প্রাণে আনন্দের জোয়ার। সার্থক হলো জীবন।
ফোনটা কেটে যায়।
স্মৃতিতে ভেসে ওঠে স্কুলজীবনের কত ছবি। অশ্রুসজল চোখে মনে মনে করজোড়ে বলি, “মাষ্টারমশাই, আপনিই তো সেই পঞ্চম শ্রেণীতে স্কুলের নতুন ম্যাগাজিনে আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছিলেন একটা কবিতা ‘ভোরের আলো’।