Site icon আলাপী মন

আকাঙ্খিত

আকাঙ্খিত

রীণা চ্যাটার্জী

নতুন আশা, নতুন ভাষা, নতুন করে ভালোবাসা।ভালোবাসার বন্ধনে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখা, জীবনের রসদ খোঁজা। আলাপী মন-এর বিজয়া সম্মেলন সকলের স্বতস্ফুর্ততায় প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে উঠেছিল সবটুকু সময়। 

মিষ্টির বাক্স হাতে অতি প্রিয় মুখ-কি মধুর! তবে পরিচিত মুখগুলো দেখলেই মনে আনন্দ দোলা দিয়ে যায়। মিষ্টির বাক্স অবশ্যই উপরি পাওনা। উষ্ণ আলিঙ্গনে মনে যেন সেই এক সুর বেজে ওঠে অজান্তেই, ‘ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে আমার নামটি লিখো..’। আলাপী মন সাধ্য মত আয়োজন করে থাকে, কিন্তু তাকে মনের মাধুরী মিশিয়ে বর্ণময় করে তুলেছেন আলাপী মন-এর উপস্থিত সকল স্বজন সাথীরা।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, চতুর্থ মুদ্রণ সংকলন ‘জাগৃতি’র চোখ মেলে চাওয়া, স্মারক সম্মান, গান, কবিতা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে ধাপে ধাপে এগিয়ে গেছে। বেলা ঘনিয়েছে নিজের নিয়মে- টের পাওয়া যায়নি। মুগ্ধতায় রেশ নিয়ে এগিয়ে যেতে যেতে একটা সময় অনুষ্ঠান যেন এক কিশোর গলার জাদুতে বশ হয়ে গেছিল। আবেশ কথাটা শুনেছি, সেদিন অনুভব করলাম। কারোর মুখে কথা ছিল না- চোখে ছিল অবর্ণনীয় এক অনুভূতি। কবি কাজল দাস-এর পুত্র রূপ- সেদিন যেন রূপ সকলের কাছে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা। উপস্থিত সকলেই হয়তো আমার সাথে একমত হবেন বলেই মনে হয়। এইভাবেই কেটে গেল বহু আকাঙ্খিত একটা দিন। উপস্থিত সকলের কাছে কৃতজ্ঞ আলাপী মন।

আরো কিছু প্রিয় মুখ দেখার অপেক্ষায় অধীর ছিল মন। কিন্তু মনকে বোঝাতে হয় সবকিছু একসঙ্গে পাওয়া যায় না- বিধির বিধান মেনে তো নিতেই হয়। 

হেমন্তের শিশির সিক্ত শুভেচ্ছা আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে সবার জন্য। আগামী শুভ হোক।

Exit mobile version