পড়শী
-সঞ্জিত মন্ডল
ঘরের পাশে একলা শহর একলা দোকলা বাড়ি,
কেউ কারো খোঁজ রাখেনা সেথায় সবার সঙ্গে আড়ি।
এক বারান্দা দক্ষিণ খোলা হাওয়ায় স্বপ্ন গড়ি,
ভিজে কাঁথাগুলো রোদ্দুরে দিই শুকিয়ে নিয়েছি শাড়ী।
ঘুমটা কখন আসে জানো সেই অলস দুপুরবেলা,
কার স্বপ্নে যে বিভোর হয়েছি হারিয়ে যাবার পালা।
স্বপ্নেতে ভাসে রাজার কুমার মস্ত ঘোড়ার গাড়ি,
ঘুম ভাঙালো যে হুতুম পেঁচাটা তার সাথে দিই আড়ি।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে তখন সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালি,
আলপনা দিয়ে সদর সাজাই তার অপেক্ষা করি।
সদর জানেনা সামনেই গলি রাস্তা অনেক দূর,
মায়াতরুগুলো ঈশারায় ডাকে মনভাসি তার সুর।
উজান বুঝেছে নদী টার ভাষা ভাটায় কাঁদে পরাণ,
সাগর জানে সে আনন্দ গান উছলায় তার বান।
পদ্মা ভেসেছে মেঘনাও ভাসে ভেসেছে চাষির প্রাণ,
গঙ্গা ভেসেছে দামোদর ও ভাসে ভেসে যায় কতো গ্রাম।
ঘরের পাশেতে আরশি নগর পড়শীর কথা বলি,
সুজন সখা সে উদাস বাউল তার প্রেমে ভেসে চলি।
নদীর ঘাটেতে শ্যাওলা সিঁড়িতে নৌকা ভিড়ায় মাঝি,
একটা গল্প তৈরী হয়েছে ফুলেতে ভরেছে সাজি।
একলাই চলা একলাই বলা একলার এ জীবন,
আসা আর যাওয়া পথের মাঝেতে কেন ডাকে সে সুজন।
তার ডাকেতেই সংসার গড়ি তার ডাকে দিই পাড়ি।
তার ডাকেতেই ঘর বাঁধি আমি মায়ার বাঁধনে পড়ি।
সংসার সুখ ভাবি মনে জানি কেউ কারো নয় মন,
সবই অনিত্য জেনেও মায়ায় ভেসে যায় এ জীবন।।