গুণ-দোষ
-অমল দাস
আমাবস্যার ঘুটঘুটে কালো রাত
তবুও উৎসব উপদ্রবে কতেক আলো
জীর্ণ ঘুলঘুলির ফোকরে যে পাখিটা
রাত্রি যাপনে বসেছিল –সে তো ডানা মেলেনি
সে কি আলোর খেলা জানতে পেরেছিল?
যদি জানতে পারতো ছেঁড়া কাপড়-কিশোরী
সমস্ত রাত উলঙ্গ জুনিটা মশারীর ফাঁকে এসে
চেটেছিল তার ঘর্মাক্ত শরীর
সে কি পারতো ঢাকতে লাজ – ছিনিয়ে নিতে পারতো
গগন তারে ঝুলিয়ে রাখা আকাশের নীল শাড়ি!
এতকালেও যারা ছিনিয়ে নিতে পারেনি
এতকালেও যারা বলতে পারেনি কথার উপ’কথা
তারা কথিত “মাটির মানুষ”
ধুলোয় মিশে এসেছে.. এবং গেছে..
তারা খুঁজতে চায়নি কোথায় পৃথিবীর সীমারেখা।
আজন্মকাল খুঁজেও তোমাকে পাওয়া যায়নি
পিয়াসার নলকূপে সাঁতার কাটে
ম্রিয় -আকাঙ্ক্ষার কালো কোষ
শেষ পেয়েছিল..
মাটির চরে মরা মানুষের খুলি
আবেগের মৃত কার্নিশে দোয়েলের বিদায়ী শিষ
ঘন জনস্রোত পিষে যায় জনপদের গুণ
দোষ…