কবিতা- অস্তিত্ব

অস্তিত্ব
–প্রদীপ শর্ম্মা সরকার

 

 

“আমি” যদি একটা অস্তিত্ব হয়
“তুমি”ও তবে তাই।
এতো আলাদা আলাদা থাকার কৌশল কেন?
প্রথম পুরুষ, দ্বিতীয় পুরুষ, তৃতীয় পুরুষ
ব্যকরণেও কেমন ছেয়ে গেছে পুরুষাকার!
লিঙ্গ নিয়ে জেরবার জনগন
দাবী করে, লড়াই করে–
মহিমা প্রতিষ্ঠার জন্য তুমুল ঝগড়া––

ফাঁক দিয়ে সময় গলে যায়
নারীবাদী,পুরুষবাদী সকলেই আস্ফালন করতে করতে বৃদ্ধ হয়ে যায়।
অনেক আকচাআকচির পর স্থির হয়
কোন শব্দেই আর লিঙ্গ নির্দেশক স্বরবর্ণ যোগ হবে না–
লিঙ্গ নির্বিশেষে সারা গায়ে লৌহসদৃশ পেশী হবে,
কোমল শব্দটা পরিত্যাগ করা হবে–
সবাই হবে শক্তের ভক্ত,
শক্তের প্রতি নরমের বা নরমের প্রতি শক্তের
দুর্বলতা উধাও হবে–
একপ্রকার সমকামীতা প্রতিষ্ঠা পাবে।

বেশ তো হোক না।
জরায়ু প্রতিস্থাপিত হোক পুরুষের দেহে,
নারীর বীর্যে ভেসে যাক পুরুষের জঠর‌।
অস্তিত্ব সঙ্কট দূর হোক।
ভালোবাসা দীর্ঘ অবকাশে যাক।

কণ্ঠস্বর চিকণ হলেই কি নারীত্ব দাবী করা যায়?
ভুল হল বোধ হয়–
নারী বলে দেগে দেওয়া যায়?
বরং অস্তিত্বের নাম হোক পেশী–
মনের স্থান দখল করুক দেহ,
আরো কিছু দেহজ বর্জ্যে ভরে যাক মাটি–উর্বর মাটি––

বহু অস্তিত্বের নবজন্ম হোক।
সঙ্কট এড়ানো যাবে তো!
যদি এড়ানো যায় তবে ধ্বংসের কি হবে?

Loading

Leave A Comment