আজ তবে এইটুকু থাক…
–রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
শুরুটা আজ একটু অন্যরকম। সেদিন ছিল শিব চতুর্দশীর পুণ্যলগ্ন। দু’পক্ষ কাল পার করে প্রথম সম্পাদকীয়–
(আমার ইচ্ছা প্রকাশ
-রীণা চ্যাটার্জী
সুধী,
দু’পক্ষ কাল পার করে এলো সবাকার “আলাপী মন”। “আলাপী মন” আমার ইচ্ছার প্রকাশ। সাহিত্যের খুঁটিনাটি, খড়কুটো মূল্যবান করে রাখার আশা সাহিত্যের আঙিনায়। সবসময়ের সবক্ষেত্রেই দোসর আমার একমাত্র আত্মজা পরম সহিষ্ণুতায় মেল বন্ধন করালো আমার ইচ্ছা “আলাপী মন” এ। কৃতজ্ঞ আমার প্রিয় সাহিত্যিক বন্ধু অমল বাবুর কাছে, যাঁর সহযোগিতা ছাড়া আমাদের আঙিনা গুণীজনদের সমাহারে সেজে উঠতো না। তিনি পরম বিশ্বাস, ভরসা দিয়ে হাত ধরেছেন “আলাপী মন”এর। সাজিয়ে দিয়েছেন অনেক পরিশ্রমে সাহিত্য কুসুম দিয়ে আমাদের আঙিনা। কৃতজ্ঞ আমি সকল লেখক লেখিকার কাছে যারা প্রথম দিন থেকেই আমাদের সাথী- স্বজন সাথী। অনেক দ্বিধা নিয়ে শুরু হয়েছিল পথ চলা, কালের বাণী কি আমাদের জানা নেই…তবে যাঁদের সহযোগিতা জন্ম লগ্ন থেকে আমরা পেলাম তাঁদের সাহিত্য আলাপন আগামীতেও আমাদের সমৃদ্ধ করবে এই আশায় থাকলাম।
সকল লেখক লেখিকার সাহিত্য রচনায় বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। উৎকর্ষতার বিচারে দুঃসাহস নিয়ে নয় কিছু রচনা মনে ছাপ ফেলেছে…’পঙ্গুত্বের জয়’, ‘দায়িত্ব’, ‘বসন্ত আমার গঙ্গাজল’, ‘ওই মেয়ে’, ‘স্মৃতিপট’ নাম নিয়ে বোধহয় তালিকা বৃদ্ধি পাবে, তাই সবাইকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।
কুশল কামনা করি সবার জন্য।)
প্রথমটুকু স্মৃতিচারণা। ইচ্ছে হল ফিরে দেখি একবার- পেরিয়ে এলাম পাঁচটি বসন্ত। শিখলাম অনেক কিছুই, জানলাম অনেক কিছু। ভুলভ্রান্তি শোধরানোর চেষ্টা তো অবশ্যই করেছি, জানি না কতোটা পেরেছি।
সার্থকতা- এ এক অমোঘ প্রশ্ন। তবে পথ চলতে চলতে মুখ-মুখোশের তফাৎ চিনেছি। এও জেনেছি- মুখোশ খুলবেই, ও ঢেকে রাখার নয়। তাই মুখের মুখোশী মুখের হাসিও দেখেছি, কষ্ট যে পাইনি তা নয়। তবে আজকাল সহ্য হয়ে গেছে। নম্রতা দেখেছি, ঔদ্ধত্য দেখেছি- তবে আমার জানি না কেন ছোট্ট থেকে মনে হয় প্রকৃত কলম সর্বদা নতমুখী। কলমে প্রতিবাদ সাজে, বিক্ষোভ সাজে কিন্তু ঔদ্ধত্য! কে জানে! তবে আজও অমলিন মুখের হাসি, অকৃত্রিম গলার স্বরে বড়ো শান্তি পাই। শুরু থেকে আজকের দিন পর্যন্ত যাঁরা আমাদের হাত ভালোবাসার বন্ধনে বেধে রেখেছেন তাঁদের কাছে আলাপী মন কৃতজ্ঞ। কারণ মনটুকু ভরসা করেই দিন কাটছে- মনের আলাপ বন্ধ হলে সেদিন? সে হয়তো ইচ্ছের ইচ্ছেমৃত্যু। বাকী দেহ তো নশ্বর…
ফাল্গুনী শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে।