কবিতা- কালপুরুষ

কালপুরুষ
সুবিনয় হালদার

 

অমাবস্যার কুকাপ অন্ধকার পরিমণ্ডলে প্রতিশব্দ নিশ্চুপ নিথর
ভীতসন্ত্রস্ত ঘুমন্ত আমরা রঙবেরঙে রেঙে ভেসে বেড়াই-
কল্পনার কল-কল্লোলে এ-শহর হতে গ্রামে- পাড়ায় মাঠে ময়দানে!
দীর্ঘনিশ্বাস আর আফসোসের কচুপাতায় একটা রৌদ্রজ্জ্বল সকাল-
একবিন্দু শিশির কণা “বেনীআসহকলা” বিচ্ছুরিত মুক্তোর আশায়।
উল্টো হাওয়ায় মেঘলা আকাশ নক্ষত্রদের কালো চাদরে ঢেকে নেয়;
অসমাপ্তের অরাজকতায় অসম্পূর্ণ তিথি রয়ে যায় খাতায় পাতায়!
শুক্লপক্ষের চতুর্দশ আলোআঁধারে সক্ষ্যতায় মাখামাখি সময়
কখনোবা খেলা-মেলা আনন্দে- গদগদ হয়,
জোয়ারের বেনোজল বেড়ে চলে-
মনের অগোচরে দুঃখের সাগর মাঝে।
ভবের বৈতরণী কখন যে নিরানন্দের ঘাটে পৌঁছে গেছে বুঝেও বুঝিনি;
দেশ ও দশের লোকলজ্জার মাথা খেয়ে সত্যবান আর সত্যবতীদের শিরদাঁড়ায় অসত্যের অবিশ্বাসের নাগপাশ জড়িয়ে ধরে।
আমিত্বর রাজাজ্ঞা-বহ দাসদাসী প্রত্যেকেই অপ্রতিরোধ্য প্রতিযোগিতায় সামিল!
অগাধ বিশ্বাসে হরিলুঠের প্রসাদ গোপনে সমর্পিত ;
ভূলুণ্ঠিত হয়ে পদধূলি নিতে ব্যস্ত-
ভিক্ষাপাত্র হাতে-
নিজেকে বিকিয়ে-
আরো এক গ্রহণকালে যুগলবন্দীর চতুষ্পদ সন্ধিক্ষণে!
যেখানে সততা ভদ্রতা বিশ্বাস ভালো হওয়া নিছকই বোকা.. মার্কা অপশব্দ,
তা-সে বাড়ির আপনজনের কাছে হোক অথবা পাড়া প্রতিবেশী সমাজের।
অদৃশ্যমান দৃশ্য চরিত্রায়ন করে দীপ্ত স্বরে বলা দ্বিপদ অবলুপ্তের পথে;
রাত বাড়লে ঘোর অন্ধ উন্মাদনায় নিমজ্জিত কালপুরুষ চতুষ্পদে ফিরে যায়!

Loading

Leave A Comment