ইতি ভূমিকা
-সুবিনয় হালদার
জ্যোৎস্না রাত মায়াবী ফাঁদ
ঘিরে আছে প্রিয় চারিধার,
মিলনের কালে মলিন হলো
চোখে ঘুম নিঝুম অন্ধকার !
হিংস্র পশু উন্মত্ত ক্ষুধার্ত সর্বভুক
লকলকে লালসায় লালায়িত জিভ ;
মানবতা আদিমতা অভিন্ন আলাদা
গুঁতো মারে সুরাসুর কৃষ্ণ গহ্বরে অসুখ ;
প্রভাতের রবি স্বর্গের ছবি
হাসি খুশি মুখরিত প্রকৃতি,
কলমের কালি শেষ হলে বলি
রয়ে গেলো বাকি বেদনার স্মৃতি ;
একাকী লিখি বিরহের ইতি !
হলোনা লেখা তাহাদের কথা
রক্ত মাখা শিশির ভেজা দূর্বা,
শূন্যদৃষ্টি দুচোখে বৃষ্টি ঝরে
সৃষ্টি সাগর জগদ্দল পাথর নড়ে !
তরী হয় বেসামাল অসময় কাল
দগ্ধ ব্যথায় সপাটে চাবুক মারে,
তবুও স্থির লক্ষ্যে অবিচল শির
জয়ধ্বজা উড়িয়ে সেথা মৌন একা
ছিন্ন কাগজে জরাগ্রস্ত কবিতার ভূমিকা ।