অবুঝ পাখি
-সঞ্জিত মণ্ডল
মনের মধ্যে অবুঝ পাখির বাস-
যখন তখন গুমরায় দিনরাত
রাত যত বাড়ে বুকের মধ্যে চাপ-
মনের ঘরের সব আগল ভেঙে পড়ে।
অবুঝ পাখির আর্তনাদটা শোনো-
সে কোন রূপসী প্রণয় ভিক্ষা করে,
কালিদাস কবে মেঘদূত লিখেছিলো-
প্রিয়া তার ঘরে প্রণয়ের চিঠি পড়ে।
বিশ্বামিত্র মেনকাকে কে পেতে চায়
মোহময়ী পরী উঁকি দিয়ে চলে যায়,
সব তপস্যা ব্রহ্মচর্যগুলো –
অবুঝ পাখির ডাকে ধুলোয় মেশায়।
জানো কি বন্ধু নিষ্ফল বেদনায়-
দূর হতে কারা ডাকে কতো ঈশারায়,
অবুঝ পাখিটা মনেতেই গুমরায়
দেবরাজ তাই অহল্যাকেই চায়।
অবুঝ পাখিরা কাকে যে ডাকে কোথায়
ঋষি মুনিরা তো ব্রাহ্মমুহূর্তে জাগে
গৌতম মুনি নদী ঘাটে স্নানে যায়
কাক ডেকে ওঠে প্রেমিক হাজির হয়।
তারা সুন্দরী চাঁদকে ইশারা করে
গুরু পত্নী তো অগম্যা হয় জানে
অবুঝ পাখিটা সবখানে হানা দেয়
জ্যোৎস্নায় তারা চাঁদ প্রেমে ডুবে যায়।
বৃষ্টি পড়ছে শুনশান চারিধার
অবুঝ পাখিটা ডানা ঝাপটায় জোরে
সে বুঝি এসেছে নির্জন নিরালায়
এমন দিনেই কে কে যাবে অভিসারে।
শকুন্তলারা আজও পথে পড়ে কাঁদে
চোরি পিরীতি লাখো গুণে শ্রেয় হয়
পথের ধূলায় আজও তো ভূমিষ্ট হয়
আদি কাল থেকে অবুঝ পাখি টা ডাকে।।