কবিতা- লজ্জা

লজ্জা
সমীর হালদার

দেখানোর মতো আর কোন অহংকার অবশিষ্ট নেই।
যা কিছু চোখে পড়ে তা শুধুই
মধ্যযুগীয় বর্বরতার উল্লাসিত অন্ধকার।
যে শিশুরা রোজ দুবেলা ভাতের সাথে আপোষ করে
ফুটপাতে আঁকে নেই পৃথিবীর স্বপ্ন,
যে মানুষ গুলো পরিযায়ী শ্রমিকের ঘর্মাক্ত লাইনে
দাঁড়িয়ে
ক্রমাগত লিখে চলে জীবন সংগ্রামের মহাকাব্য
অথবা লালবাতির নিষিদ্ধ পাড়ায়
লজ্জা বিক্রির ফেরিওয়ালা যে নারীরা
প্রেমহীন ভালবাসায় খুঁজে নেয় জীবনের বসন্ত
তারা কি জানে গনতন্ত্রের প্রকৃত মানে?
আসলে নির্ভেজাল মিথ্যার স্তূপে দাঁড়িয়ে
আমরা ক্রমাগত গনতন্ত্রের ধ্বজা তুলে চলেছি
যেখানে লুকানোর মতো আর কোনো লজ্জা অবশিষ্ট নেই।
সবটুকু লজ্জা ধুয়ে গেছে রক্ত বৃষ্টির ফোঁটায়।

Loading

Leave A Comment