ভবিষ্যতের শব্দ
সুমিত মোদক
অভিমন্যু চিনতে পারেনি কুরুক্ষেত্র প্রান্তর । ভারতবর্ষ । আজও অভিমন্যুরা জন্মায় এ মাটিতে । যুদ্ধ করে । আবার শহীদ হয়ে যায় । কেবল চোখের জলে ভিজে থাকে সুভদ্রা । মা ।
সময় জেগে উঠে । আবার ঘুমিয়ে পড়ে যুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে । কখনও যুদ্ধ নিজের সঙ্গে । কখনও যুদ্ধ সভ্যতার সঙ্গে । মায়ের বুক শূন্য হয়ে পড়ে । মহাশূন্যে ভেসে চলে ভবিষ্যতের শব্দ ।
প্রজন্ম সে শব্দের সন্ধানে গভীর রাতকেও নাবালক করে দিয়েছে । একের পর এক শব্দ তরঙ্গ সাজিয়ে নেয় । খুলে চলে মহাশূন্যের শব্দ জাল । তথ্য । একটা মায়াজাল ঘিরে ধরতে চায় বার বার । কিন্তু , যত্নশীল প্রেমিক পুরুষের মতো প্রেমিকার ওড়না ঠিক করে দেয় ।
মহাকাশ থেকে ছড়িয়ে পড়েছে যে শব্দ সে গুলো নিয়ে গড়ে নিতে চায় ভবিষ্যতের পথ । বাউল যে ভাবে রাঙামাটির পথ চেনে , সে ভাবে কেউ চেনে না দেশের মাটি । যে মাটি থেকে সুর ওঠে । ভাসে বাতাসে বাতাসে । হৃদয়ে ।
সকলে তো হৃদয় পায় না । যে ভালবাসবে দেশকে । শুরু করবে অকাল বোধন । ফিরিয়ে নিয়ে আসবে দেশের সম্মান । আত্ম মর্যাদা ।
বোধ হারিয়ে ফেলা মানুষ গুলো বিকিয়ে দিয়েছে সব । সে কারণেই ঘিরে ধরে অন্ধকার । কুয়াশা । চেনা যায় না সামনের পিছনের চেনা অচেনা মানুষজন ।
মানুষ-ই হুঁশ হারিয়ে ফেলে । সে কারণেই নিজের মাকে শেষ বয়সে করে তোলে ব্রাত্য । অথচ , দুর্গা পূজায় মেতে ওঠে । অষ্টমীর অঞ্জলী দেয় ।
নীলকণ্ঠ পাখি উড়ে আসে । আবার উড়ে যায় । কোনও এক অচিনপুরে । রেখে যায় কিছুটা সময়ের ভালবাসা ।
বোধনে জেগে থাকে শক্তি । শক্তির আধার । যেখানে খেলা করে অলৌকিক এক শব্দ তরঙ্গ । যার উৎস মহাজাগতিক সংসারে । প্রজন্ম , সন্ধি পূজার সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ।