সত্যা
সুবিনয় হালদার
এক বাহুতে খড়গ তোমার
অন্য দিকে সান্ত্বনা,
রুদ্র অভয় ভঙ্গিমা ;
জুজু দেখিয়ে অজুহাতে
করছ তুমি হরিলুঠের বন্দনা !
তোমার প্রজা হদ্দ বোকা
খাচ্ছে ধোঁকা জন্মকাল ;
অসুর কূলের পোয়াবারো
তুমিই নাকি তাদের ঢাল !
দু-চোখেতে গঙ্গা দেখি
এক বুকেতে জ্বালা,
অন্য মুখের শব্দ গুলো
নিঃশব্দে মারছে চাবুক দুবেলা !
মুণ্ডমালার মুণ্ড-গুলো খিলখিলিয়ে হাসে
সমস্বরে বলছে ওরা হৃদয়-পুরে আছে ;
খাদ্য যখন রক্ত হয় ভক্তরাই ঝরা-
সত্যা শুধুই বলবে হেসে তোরাই ঘাটের মরা !
যখন মনের ভাবনা গুলো
জুড়তে গিয়ে অকূল ভবের কলা,
চিন্তা করে পাইনা ভেবে
এই জীবনে যোগবিয়োগের খেলা !
দশদিকেতে উঠছে আওয়াজ
সত্যা নাকি সবজান্তা-
এই তন্ত্র এই মন্ত্র আর চলবেনা !
শক্ত হাতে ধরতে হবে
উচ্চ কন্ঠে সমস্বরে চিৎকারে
দুর্বিত্তের দুষ্কর্মের ভর্ৎসনা,
রক্তবীজের ছলনা
বিপ্লবের এই আঙিনা ।