পুরুষের বুকে
-সুমিত মোদক
পাথর জন্ম নিতে নিতে নুড়ি । নুড়ির উপর প্রবাল । একটু একটু করে ঘিরে ধরে । সেখান থেকে উঠে আসে শব্দ তরঙ্গ ।
নদী নুড়িকে করে তোলে সঙ্গী । তার পর বহু বছর ধরে সঙ্গীত সাধনা । এগিয়ে চলার মন্ত্র । সাক্ষী থাকে আকাশ-বাতাস-সময় …
মহাভারতেরও আগের শ্রীকৃষ্ণ প্রেমিক হয়ে ধরা দিয়ে ছিল শ্রীরাধিকার কাছে । আর বাঁশিতে উঠে ছিল ধুন । কেবল মাত্র যমুনা নদী জানতো । আর জানতো নুড়ি জন্ম ।
এখন মহাপ্রস্থানের পথে হাঁটে অস্পষ্ট বর্ণমালা । একের পর এক শব্দ তরঙ্গ থেকে জন্ম নেয় হৃদয়-রেণু । ফুলেরা মেলে দেয় পাপড়ি । প্রজাপতি মেলে রঙ-বেরঙের ডানা ।
মহাকাশ থেকে ভেসে আসা আলোর তরঙ্গ , শব্দ তরঙ্গ মিশে যায় ব্যর্থ প্রেমিক পুরুষের বুকের ভিতর । নক্ষত্র-জল টুপটাপ ঝরে ।
নতুন করে খুঁজে নয় মহাকাল সাধন পীঠ । শুরু হয় সরস্বতী নদীর খোঁজ । চারিদিকে এতটাই অন্ধকার যে , বার বার হারিয়ে যায় ভবিষ্যৎ । অথচ , নুড়ি জন্ম দিতে থাকে আরেক নুড়ি ।
প্রেমিকা কোনও সময় জানবে না প্রবল-ভালবাসা ।