হেমন্তিকা
-শিলাবৃষ্টি
বঙ্গের এই রঙ্গশালায়
নটরাজের নাচন…
ছয়টি কালের আসা যাওয়া
মনের মাঝে মাতন ।
ঢাকের বাদ্যি ,শিউলি শালুক
শরৎ সুবাস শেষে,
বৈরাগিনী হেমন্তিকা
আসলো মৃদু হেসে ।
হিমেল আবরণে আজ
ঘোমটা খানি টেনে —
দুহাত ভরে দিয়েই গেলে
স্ব- স্নিগ্ধ নয়নে ।
খেটে মরে চাষি সারা দিনভর
বারোমাস জলেরোদে,
মুখের আহার জোগায় তারা
মেটায় পেটের খিদে।
হেমন্তে এসে উৎসবে মাতে
হাতে হাতে ধান কাটে,
স্বর্ণ ফসলে ভরে দেয় গোলা
আনন্দ মাঠে বাটে ।
আঙিনার মাঝে ঘট পাতা ঐ
নতুন ধানের শিসে
উৎসব হোক তোমার আমার…
স্নেহ ভালবাসা মিশে।
নবান্ন এল প্রতি ঘরে ঘরে
মাঠের সোনার ধানে ,
অঙ্গন আজ হাসছে দেখো …
তোমার পূর্ণ দানে।
নিজেকে কেন গুটিয়ে রাখা !
বিষন্নতার ছায়ে !
হেমন্তিকার প্রাচুর্য তো –
তোমার পায়ে পায়ে ।
মমতাময়ী মাগো আমার
উদাস কেন বলো ?
নতুন ধানের ঘ্রাণে যখন-
সবাই দেখে আলো !
তোমার আশিস মাথায় নিয়ে
আনন্দে আজ মাতি,
শাঁখ বাজিয়ে,উলু দিয়ে
“নবান্নে” হও সাথি ।